ভোপাল: ভোপাল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার ভেঙে ৮ সিমি জঙ্গির পালানোর জেরে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে সরিয়ে দিল শিবরাজ সিংহ চৌহান প্রশাসন। এডিজি সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় তারা নিয়ে এল সুধীর শাহিকে। মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সুধীর ব্যাপম দুর্নীতির তদন্ত করছেন। ওই তদন্তে গঠিত স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান হিসেবে ৩ বছরে ২,০০০-এরও বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছেন তিনি। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র-এও তিনি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।


মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাক্তন ডিজিপি নন্দন দুবে এই জেল ভাঙার ঘটনার তদন্ত করবেন।

শিবরাজ সিংহ চৌহান, মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশ

জেল ভেঙে পালানোর ৮ ঘণ্টার মধ্যেই মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ও তাদের জঙ্গিদমন শাখা ওই ৮ সিমি জঙ্গিকেই এনকাউন্টারে খতম করেছে। শহরের বাইরে জেল থেকে ১০ কিলোমিটারের মত দূরে চলেছে ওই অপারেশন। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় গুঙ্গা পুলিশ স্টেশনের মানিখেদা এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে তারা ওই পলাতক জঙ্গিদের খোঁজ পায়। গ্রামবাসীরা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। গ্রামের মানুষ তাদের ডাকাত ভেবেছিলেন, তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা পুলিশের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে, জবাবি গুলিতে ৮জনেরই মৃত্যু হয়। ঘণ্টাখানেকের এই এনকাউন্টারে আহত হয়েছেন ২ পুলিশকর্মী। জঙ্গিদের সঙ্গে খেজুর ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তবে কীভাবে ‘উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা’-র দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে হেড কনস্টেবলের গলা কেটে, উঁচু পাঁচিল টপকে তারা পালাতে পারল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জেল ভাঙায় যারা তাদের সাহায্য করেছে, তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।