নয়াদিল্লি:  সিঙ্গুর রায়ের পরিমার্জন এবং স্পষ্টিকরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। তিনটির মধ্যে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত।

সিঙ্গুর মামলার রায়ে, ১২ সপ্তাহের মধ্যে জমি ফেরাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই সময় পেরনোর আগেই এই রায়ের পরিমার্জন এবং স্পষ্টিকরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মূল মামলাকারীর আইনজীবী শান্তিরঞ্জন দাস। যদিও তাঁর তিনটি আর্জির মধ্যে সোমবার দু’টি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

শান্তিরঞ্জন দাসের প্রথম আর্জি ছিল

সিঙ্গুরে একশো একর জমি এখনও চাষযোগ্য নয়। এই জমির ভবিষ্যৎ কী হবে, সেবিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক।

কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়,
সিঙ্গুর মামলার রায় আর পুনর্বিবেচনা করা হবে না। আপনি এনিয়ে সওয়ালই করবেন না।

শান্তিরঞ্জন দাসের দ্বিতীয় আর্জি ছিল,
দশ বছর আগে যাঁরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তাঁদের তুলনায় এখন কৃষকরা কম ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়টি দেখুক।

এই আর্জিও খারিজ করে দেন বিচারপতিরা। তাঁরা জানিয়ে দেন,
যাঁরা ক্ষতিপূরণ নেননি, এটা তাঁদের ভুল।

পাশাপাশি যাঁরা এখনও ক্ষতিপূরণ নেননি, তাঁদের ২ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ নিতেও নির্দেশ দেন তাঁরা।

আইনজীবী শান্তিরঞ্জন দাস তৃতীয় আর্জিতে জানান,

সিঙ্গুর-মামলার অন্যতম আইনজীবী হওয়া সত্ত্বেও এই মামলার রায়ে তাঁর নাম নেই।
এই আর্জি প্রসঙ্গে বিচারপতিরা রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেন, সিঙ্গুর মামলার রায়ে আইনজীবীর নাম সংযোজিত করতে।

গত ৩১ অগাস্ট সিঙ্গুর মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বিচারপতিরা জানান,

২০০৬ সালে বাম আমলে সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ। ১২ সপ্তাহের মধ্যে জমি ফেরত দিতে হবে। যাঁরা ক্ষতিপূরণ নেননি, তাঁদের টাকা দিতে হবে।

ইতিমধ্যে চাষযোগ্য করে কৃষকদের জমি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০ নভেম্বরের মধ্যে সবার জমি ফেরত দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর।