পটনা: বিহারের সিওয়ানে সাংবাদিক খুনে কি সুপারি কিলার নিয়োগ করা হয়েছিল? ঘটনার তদন্তে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।


 

খুনের ঘটনায় তিন জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সাংবাদিক খুনে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরা কাজ করছিল না। ফলে ওই রাস্তার আগের ও পরের মোড়গুলির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আততায়ীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

 

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল। তাদের খোঁজ চলছে। গতকাল সন্ধেয় সিওয়ান শহরের একটি হিন্দি সংবাদপত্রের জেলা সংস্করণের প্রধান রাজদেও রঞ্জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই সাংবাদিকের।
জানা গেছে, এই খুনের ঘটনায় ব্যক্তিগত শত্রুতার জের রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সিওয়ানের পুলিশ সুপার সৌরভ কুমার শাহ বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, খুনিরা রঞ্জনের লেখা খবরের জেরে বিপাকে পড়েই প্রতিশোধ নিতে তাঁকে হত্যা করেছে।

এদিকে নিহত সাংবাদিকের পরিবার রাজ্য পুলিশের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের জানিয়েছে। শনিবার রঞ্জনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, আরজেডি সহ সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রঘুবংশ প্রসাদ সিং। বিরোধী দলনেতা প্রেম কুমার এদিন নিহত সাংবাদিকের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেন।

বিহারের পাশাপাশি, ঝাড়খণ্ডের ছাতরার দেওয়ারিয়া এলাকাতেও অখিলেশ প্রতাপ সিনহা নামে এক সাংবাদিককে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।

এই দুই সাংবাদিকের হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে খুনিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সাংবাদিকদের অবাধ ও নিরপেক্ষ কাজের পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়া। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে সাংবাদিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন মতামতকে দমানোর চেষ্টা চলছে। সেটা না করতে পারলে তাঁদের হত্যা করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।