নয়াদিল্লি: ৫ দিনের জন্য কংগ্রেসের ৬ সাংসদকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার সু্মিত্রা মহাজন। দেশের নানা শহরে পরপর গণপিটুনির ঘটনার ব্যাপারে সোমবার সংসদ সরগরম করে তোলেন বিরোধী সাংসদরা। স্লোগান দিয়ে, স্পিকারের আসন লক্ষ্য করে কাগজ ছুঁড়ে মারেন তাঁরা।


এদিন সভা মুলতুবি থাকার পর দুপুর দুটোয় ফের বসতেই অধীর রঞ্জন চৌধুরি, গৌরব গগৈ, কে সুরেশ, রঞ্জিত রঞ্জন, সুস্মিতা দেব ও এম কে রাঘবন, এই পাঁচ কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানান স্পিকার মহাজন। অশোভন আচরণের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনি বাধ্য হলেন বলে জানান।

গণপিটুনির প্রতিবাদ জানানোর সময় তাঁদের আচরণ সাংসদসুলভ ছিল না, তা স্পিকারের পদের মর্যাদা নষ্ট করেছে, এই কারণ দেখিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই সাংসদদের।

স্পিকার তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, ওই সদস্যরা লোকসভার সচিবালয়ের কর্মীদের টেবিল থেকে সরকারি কাগজপত্র তুলে নিয়ে ছিঁড়ে টুকরো করে তাঁর আসনের দিকে ছুঁড়ে মেরেছেন। দলিত ও মুসলিমদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে তিনি আলোচনায় সম্মত হওয়ার পরও এমন আচরণ করেছেন ওঁরা।

স্পিকার জানান, কংগ্রেসের সভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও আরও কয়েকজন দলিত, মুসলিমদের নিগ্রহের প্রসঙ্গ তুললে তিনি তাঁদের বলার অনুমতি দেন। সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী অনন্ত কুমারও এ ব্যাপারে আলোচনায় রাজি হন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেকে ওয়েলে নেমে পড়েন। তিনি তাঁদের বারবার শান্ত হয়ে আসনে ফিরে যেতে বললেও তাঁরা কর্ণপাত করেননি।

দৃশ্যত ক্রুদ্ধ মহাজনকে বলতে শোনা যায়, গোটা দেশ দেখুক, ওঁরা কী করেছেন!

তিনি ৬ সাংসদের সাসপেনশন ঘোষণা করলেও অনেক কংগ্রেস সদস্যকে ফের ওয়েলে ছুটে যেতে দেখা যায়। কে সি বেনুগোপাল নামে এক কংগ্রেস সাংসদকে বলতে শোনা যায়, সবাইকেই সাসপেন্ড করে দিন স্পিকার।
ঘটনার সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীও।

ফের সভা আড়াইটায় বসলে বাম সদস্য়রা সাসপেনশনের প্রতিবাদে কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দেন। এদিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন ডেপুটি স্পিকার এম থাম্বি দুরাই।