গতকাল রাজ্যসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গটি উঠেছিল। উপাচার্য অভিযোগ করেছিলেন, স্নাতকোত্তর কোর্সে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য অনলাইনে ফর্ম ভরার সিদ্ধান্ত মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের হস্তক্ষেপে বদল করতে হয়েছে। তাঁর অভিযোগের তীর ছিল মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দিকে।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারিকে লেখা চিঠিতে আগের বক্তব্য থেকে সম্পূর্ণ ভোলবদলে হাংলু লিখেছেন, স্মৃতি কখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ তো করেননি। বরং তাঁর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সর্বদাই উত্সাহ যুগিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিকৃত মন্তব্য উপেক্ষা করা উচিত বলেও চিঠিতে লিখেছেন উপাচার্য।
হাংলু এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেস, বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি এবং এবিভিপি-র বহু নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে নাক গলাচ্ছেন। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত না হলে বিশ্ববিদ্যালয় তার হৃত গৌরব ফিরে পাবেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার উপাচার্য আরও বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কথামতোই যদি চলতে হয় তাহলে শিক্ষাবিদদের প্রয়োজন কী রয়েছে? বিধায়ক বা সাংদদদেরই তো উপাচার্য করে দিলে হয়।
গতকাল রাজ্যসভায় স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগও এনেছিলেন হাংলু। এ বিষয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী ঘুরিয়ে সমাজবাদী পার্টিকেই দায়ী করেছিলেন। এ নিয়ে স্মৃতির সঙ্গে সমাজবাদী পার্টি সদস্যদের তীব্র বাদানুবাদও হয়েছিল।