বিজেপির লক্ষ্য একটাই। এমন কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে যাঁর মোদীর মত জনপ্রিয়তা যদি নাও থাকে, জনতার মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে রীতিমত। ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি যিনি পূরণ করার হিম্মত রাখেন, এবারের ভোটে ১০০ না ছোঁয়া রাজ্য বিজেপির হাল যিনি ধরতে পারবেন শক্ত হাতে। আর এখানেই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির নাম উঠে এসেছে।
বিজেপি মনে করছে, স্মৃতির মধ্যে এই সবকটি গুণই রয়েছে। তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা প্রমাণিত, মোদী ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের অন্যতম, পাশাপাশি গুজরাতি ভাষায় রীতিমত স্বচ্ছন্দ তিনি। এছাড়া রয়েছে তাঁর মাটি কামড়ে পড়ে থাকার ক্ষমতা। গত বছর আমেঠিতে রাহুল গাঁধীর কাছে ভোটে হেরেছেন। কিন্তু আমেঠি স্মৃতি ছাড়েননি। বরং তাঁর ক্রমাগত জনসংযোগে কংগ্রেসের কপালে গভীর হয়েছে চিন্তার ভাঁজ।
যদিও স্মৃতি যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে বলেছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে নেই।
স্মৃতি ছাড়াও বিবেচনা করা হচ্ছে সড়ক পরিবহণ ও রাজপথ মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মনসুখ এল মাণ্ডব্যর নাম। তিনি সৌরাষ্ট্র এলাকার পাতিদার সম্প্রদায়ের মানুষ, কৃষকদের ঘনিষ্ঠ।
এছাড়াও রয়েছেন কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল বাজুভাই ভালা। গুজরাতে এক সময় মন্ত্রী থাকা বাজুভাই অর্থ, শ্রম ও কর্মসংস্থানের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতর সামলেছেন দক্ষতার সঙ্গে।