নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধী অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার নাৎসি জমানার মত বাস্তবের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। তার জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বললেন, মোদী নন, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেন খোদ রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধী। রাহুল বিষয়টি বুঝতে ৪২ বছর দেরি করে ফেলেছেন।

নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। কংগ্রেসের সহ সভাপতি এ ব্যাপারে তাঁকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বেঙ্গালুরুতে এখ অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেন, হিটলার একবার লিখেছিলেন, বাস্তবের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রাখ, যাতে যে কোনও সময় তার কণ্ঠরোধ করতে পার। ঠিক এটাই ঘটছে এখন ভারতে। বিজেপি দেশের ওপর এমন একটা মিথ্যে রঙের পোঁচ বোলাতে চায় যাতে দেশকে তারা রাজারাজড়াদের সময়ে নিয়ে গিয়ে ফেলতে পারে। সেখানে কোনও প্রশ্ন চলবে না, ক্ষমতার জন্য মানুষকে অপমান করা যাবে, মানুষের কণ্ঠরোধ হবে, গরিব ও দুর্বলকে পিষে ফেলা যাবে।

তাঁর আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মোদী একনায়কের মত আচরণ করছেন, যাঁর উপদেষ্টারা নিজেদের আপত্তি প্রকাশেও ভয় পান। একনায়কের গায়ে এখন আর কোনও পোশাক নেই কিন্তু তাঁর চারপাশে কারও সাহস নেই যে তাঁকে এ কথা বলে।

দেখুন এ ব্যাপারে তাঁর টুইট









মোদী এ নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু আসরে নামেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি তুলে আনেন কংগ্রেস পার্টির ট্র্যাক রেকর্ডের কথা। বলেন, রাহুল, আপনি এটা বুঝতে ৪২ বছর লাগিয়ে দিলেন। সকলেই জানে, হিটলার থেকে কে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, দেশের ওপর জরুরি অবস্থা বসিয়ে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করেছিলেন। তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধীর আরোপ করা ’৭৫-এর জরুরি অবস্থার দিকে।

ইরানি আরও বলেছেন, এ দেশের নয়, কংগ্রেস দলের জবন্য অপেক্ষা করে রয়েছে বর্ণহীন ভবিষ্যৎ। যাই হোক, রাহুলকে ধন্যবাদ, তাঁর যাবতীয় কাজকর্মের জন্য, বিশেষত বিজেপির থেকে!