গ্রেটার নয়ডা: হাউজিং কমপ্লেক্স পাহারা দিচ্ছেন ২০জন নিরাপত্তা রক্ষী। নিজেকে নিরাপদ ভেবে ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করার প্রয়োজন মনে করেননি ২৫ বছরের তরুণীটি। ভাবতেও পারেননি, সেই বিশ্বাসের মূল্য দিতে হবে তাঁকে।


অভিযোগকারিণী একটি বেসরকারি কলেজে কর্মরত। থাকেন গ্রেটার নয়ডার বিশাল গেটওয়ালা এক হাউজিং সোসাইটির ১৩ তলায়। সোসাইটির নাম এভিজে হাইটস, ১১টি টাওয়ারে ১,৮০০ ফ্ল্যাট রয়েছে, এখানে থাকে ১,১০০ পরিবার। একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা এই কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।

অভিযোগকারিণীর রুম মেটের নাইট ডিউটি থাকায় তিনি ফ্ল্যাটে ছিলেন না। ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন ওই তরুণী। বেডরুমে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আচমকা দেখেন, রাজকুমার নামে তাঁদেরই কমপ্লেক্সের এক নিরাপত্তা রক্ষী তাঁর খাটের ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে, প্যান্টের বোতাম আধখোলা। তাই দেখে মহিলা আতঙ্কে লাফিয়ে ওঠেন। তখনই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্ত। তাকে কামড়ে দিয়ে কোনওক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। পাশের ফ্ল্যাটগুলিতে পরপর ধাক্কা দেন। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের লোকেরা তাঁর চিৎকার শুনলেও বেরিয়ে আসতে পারেননি কারণ রাজকুমার তাঁর ফ্ল্যাটে ঢোকার আগে পাশের ফ্ল্যাটগুলো বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ।

কিন্তু তাঁর চিৎকার শুনে নীচের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা দ্রুত ওপরে উঠে আসেন। ততক্ষণে রাজকুমার বেপাত্তা। ঘটনার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সোসাইটিরই আর এক টাওয়ার থেকে ধরা পড়ে অভিযুক্ত।

মহিলা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধে ছটা নাগাদ অফিস থেকে ফেরেন তিনি। তাঁর রুমমেট নাইট ডিউটি করেন, রাত এগারোটা নাগাদ রওনা হন অফিসে। তারপর তিনি দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু সে রাতে রুমমেট ঘরে ছিলেন না তাই বাইরে রক্ষীরা পাহারায় আছেন ভরসায় তিনি আর দরজা বন্ধ করেননি।

রাজকুমার বিবাহিত, তার দুটি সন্তান রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দাবি, মদের ঘোরে ভুল করে ফেলেছে সে।