প্রসঙ্গত, নিয়ন্ত্রণ রেখায় মনদীপকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা, পিছন থেকে পাক সেনাদের গুলিবৃষ্টির সুযোগ নিয়ে তাঁর নিথর শরীরের ওপর অমানবিক, বর্বরোচিত অত্যাচার চালানো হয়, তাঁর অঙ্গচ্ছেদ করে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব দেশের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারই।
শিখ রেজিমেন্ট-এর সেনা জওয়ান ছিলেন মনদীপ সিংহ। তাঁর নৃশংস মৃ্ত্যুতে স্বব্ধ গোটা দেশ। মনদীপের গ্রাম অন্তেরিতে আজ দীপবলীর কোনও উত্সব পালিত হচ্ছে না। গোটা গ্রামে বিষাদের ছায়া। শনিবার মনদীপের দেহ অম্বলায় আনার পর, শহীদ সেনা জওয়ানের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বাবা ফুল সিংহ জানিয়েছেন, দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছে তাঁর সন্তান। তাই তিনি গর্বিত, এরসঙ্গে তাঁর পাল্টা দাবি, এইধরনের নৃশংস কাজের জন্যে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়া উচিত্ ভারতের।
নিহত জওয়ান মনদীপ সিংহের বিয়ে হয়েছিল ২০১৪ সালে। তাঁর স্ত্রী প্রেরণা হরিয়ানা পুলিশের কনস্টেবল। সংবাদমাধ্যমের কাছে নিহত সেনা জওয়ানের স্ত্রীর দাবি, এবার পাকিস্তানকে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত্, এভাবে সীমান্তে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মরতে দেওয়া যায় না।