রায়পুর: জওয়ানদের গতিবিধির যাবতীয় খবরাখবর মাওবাদীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল কয়েকজন গ্রামবাসী। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সুকমার হামলায় আহত এক সিআরপিএফ জওয়ান।


ওই জওয়ানের দাবি, বুর্কাপাল অঞ্চল লাগোয়া মাও-সহানুভূতিশীলরা ও সঙ্গম সদস্যরা প্রতিনিয়ত মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। তারাই বাহিনীর যাতায়াতের পথ ও সময় আগে থেকেই মাওবাদীদের জানিয়ে দিয়েছিল।


শেখ মহম্মদ নামে এক আহত জওয়ান জানান, এদিনের হামলায় প্রায় ৩০০ জনের বেশি মাওবাদী ছিল। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলা ক্যাডারও ছিল। মাওবাদীদের হাতে একে-সিরিজের অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।


ওই জওয়ান বলেন, সাধারণত গ্রামবাসীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে মাওবাদীরা। তাঁর দাবি, কিন্তু এবার জওয়ানদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে গ্রামবাসীদের পাঠানো হয়েছিল। ওরাই মাওবাদীদের প্রতিনিয়ত খবরাখবর দিত।


যার ফলে, পুরো পরিকল্পনা করে এদিন বাহিনীকে অ্যাম্বুশ করতে সক্ষম হয় মাওবাদীরা। আহত জওয়ানের দাবি, তাঁদের পাল্টা গুলিতে প্রায় জনা ১২ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, ওরা সংখ্যায় বেশি থাকায় বাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে।