রায়বেরিলি (উত্তরপ্রদেশ): নরেন্দ্র মোদীকে ‘শাহেনশা’ কটাক্ষ সনিয়া গাঁধীর। সদ্য দু বছর মেয়াদ পেরনো কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বর্ষপূর্তির উদযাপনের সমালোচনা করে কংগ্রেস সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ‘শাহেনশা’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন আজ।
কয়েকদিন আগেই রাজধানীতে সরকারের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে ব্যাপক জাঁকজমক, আড়ম্বরের আয়োজন করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা।
সেই প্রেক্ষাপটেই সনিয়ার মন্তব্য, নরেন্দ্র মোদী কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, শাহেনশা নন!
সেইসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, এমনটা আমি কখনও দেখিনি। দেশে একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন, শাহেনশা নন। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশে এত গরিবি, খরা। চাষিরা সঙ্কটে। সে সময় এভাবে ধুমধাম করে সরকারের বর্ষপূর্তি পালন করা মোটেই সমীচীন বলে মনে করি না।
মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও আক্রমণ করে তিনি বলেন, মোদীর মন্ত্রীরাই তাঁকে এমন শাহেনশা-র মর্যাদা দিয়েছেন। উত্সব পালনেই ব্যস্ত সবাই।

প্রত্যাশামতোই সনিয়ার কটাক্ষের জবাব দিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সভানেত্রীর মন্তব্য ‘সম্পূর্ণ নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন শাসক দলের মুখপাত্র সম্বিত্ পাত্র। একজন সামান্য চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোদী, এটা কংগ্রেস কিছুতেই হজম করতে পারছে না, বলেছেন তিনি।

তাঁর বক্তব্য, ‘শাহেনশা’ শব্দটার মানে কী, শেখা উচিত কংগ্রেসের। ‘শাহেনশা’ তিনিই যিনি দেশ ও দলকে নিজের সাম্রাজ্য, তালুক বলে ভাবেন। সেই বিচারে গাঁধীদের ছাড়া আর কাকে ‘শাহেনশা’ বলা যায়! বেশ কয়েক দশক ধরে ক্ষমতায় থেকে ওরাই দেশটাকে নিজেদের খাসতালুকে’র মতো চালিয়েছে। যেন দেশটা ওদের পারিবারিক সম্পত্তি। এ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। ওটাকে বলে বংশানুক্রমিক শাসন। শাহেনশা-বাদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কঠোর পরিশ্রমের জোরে, মানুষের আশীর্বাদে নীচুতলা থেকে উঠে এসেছেন । চা ওয়ালা থেকে ধাপে ধাপে উত্থান হয়েছে তাঁর। একটা গরিব লোক দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে পারিবারিক শাসন চালিয়ে আসা লোকজনের পক্ষে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। সেজন্যই হতাশা থেকে সনিয়া গাঁধী, কংগ্রেসের মুখে এ ধরনের কথাবার্তা।
বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেনও বলেন, ‘শাহেনশা’, ‘শাহজাদা’ ঘরানা কংগ্রেসেই আছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী হলেন এ দেশের ‘প্রধান সেবক’। দু বছরে যা করেছে, সেজন্য বিজেপির প্রশংসা না করে কংগ্রেস তার সমালোচনা করছে!