বারাণসী: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শুরুতেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই টার্গেট করল কংগ্রেস।

নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণের লক্ষ্য করে মঙ্গলবার তাঁর কেন্দ্র বারাণসী থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন সনিয়া গাঁধী।

১০ হাজার বাইক নিয়ে বিশাল রোড শো করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সার্কিট হাউস থেকে ইংলিশিয়া লাইন—প্রায় ৮ কিলোমিটার চলে এই রোড-শো।

সার্কিট হাউসে এদিন বি আর অম্বেডকরের মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রচারাভিযান শুরু করেন সনিয়া। প্রথমে ঢাকা গাড়িতেই ছিলেন সনিয়া। পরে হুড-খোলা জিপে চড়েন।

কংগ্রেস সভানেত্রীকে দেখতে এদিন ভিড় উপচে পড়ে রোড-শোর রুটে। ভিড়ের চাপে যাত্রাপথে বহুবার থামতে হল কংগ্রেস সভানেত্রীকে।

কখনও তাঁকে ঘিরে উচ্ছ্বাস, তো কোথাও বাড়ি থেকে নেমে এল পুষ্পবৃষ্টি। কোথাও আবার তাঁর নামের জয়জয়কার।

এরই মাঝে বার বার গাড়ি থেকেই কখনও হাত নাড়লেন, কখনও আবার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন সনিয়া।

সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শীলা দীক্ষিত, কংগ্রেসের সভাপতি রাজ বব্বর এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম নবি আজাদ।

মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম বারাণসীতে পা রাখলেন সনিয়া। মোদীকে আক্রমণ করার জন্য ইতিমধ্যেই মন্দির-শহরের বেহাল দশা নিয়ে ‘দর্দ-এ-বেনারস’ প্রচারাভিযান শুরু করেছে কংগ্রেস।



সেখানে গত ২ বছরে বারাণসীর অনুন্নয়ণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নিজের কেন্দ্র দেখার মতো সময় নেই মোদীর।

পাশাপাশি, বর্তমান শাসক দল সমাজবাদী পার্টি থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বিগত শাসক দল মায়াবতীর বিএসপি-কেও আক্রমণ করা হয়েছে। প্রচারের ক্যাচলাইন সেখানে ’২৭ সাল ইউপি বেহাল’।

গত লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে ভীষণই খারাপ ফল করেছিল শতাব্দীপ্রাচীন দলটি। শুধুমাত্র অমেঠি ও রায় বরেলির আসনেই জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপি ও শরিক অপনা দল ৮০-র মধ্যে ৭৩টি আসন দখল করে।

তবে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে ‘মিরাক্যল’-এর আশায় কংগ্রেস। সেই কথাই শোনা গেল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বরের গলায়।

তিনি বললেন, উত্তরপ্রদেশের মানুষ বরাবর চমৎকার করে এসেছেন। তা সে ২০০৪, ২০০৭, ২০১২ এবং ২০১৭...। এবার তাঁরা কংগ্রেসের হয়ে মিরাক্যল করবেন।