মুম্বই: গণতন্ত্র মতানৈক্য মেনে নেয়, বিতর্কে সম্মতি দেয়। একাকী ভাষণের জায়গা নেই এখানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে এক পত্রিকার সমাবেশে বললেন সনিয়া গাঁধী।

কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছাড়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন সনিয়া। তিনি অভিযোগ করেন, দেশ যাঁদের হাতে গঠিত হয়েছে, তাঁদের ছোট করা হচ্ছে, কংগ্রেস ও তার প্রধানমন্ত্রীদের কৃতিত্ব খাটো করে দেখিয়ে প্রমাণের চেষ্টা চলছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশে কিছু ঘটেইনি।

তবে কংগ্রেসকেও সাংগঠনিক স্তরে মানুষের সঙ্গে সংযোগের নয়া পন্থা বার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বক্তৃতায় সনিয়া টেনে আনেন মনমোহন সিংহের প্রসঙ্গও। বলেন, ২০০৪-এ কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় আসে, তিনি বুঝেছিলেন, মনমোহন ভাল প্রধানমন্ত্রী হবেন তাঁর থেকে, নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তাঁর। সনিয়া বলেন, জনসমক্ষে সহজে বক্তৃতা দিতে পারেন না তিনি, তিনি যত না নেত্রী, তার থেকে বেশি পাঠক।

১৯ বছর কংগ্রেস সভানেত্রী থাকার পর গত বছর পদ ছেড়েছেন ৭১ বছরের সনিয়া। তাঁর জায়গায় এসেছেন পুত্র রাহুল। দলের ব্যাপারে ছেলেকে কোনও পরামর্শ দেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি নাক না গলানোর চেষ্টা করেন। রাহুল পার্টিকে সঞ্জীবিত করে তুলতে তরুণ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বের মেলবন্ধন চান, এটা সহজ কাজ নয়।

মেয়ে প্রিয়ঙ্কা ভঢরা কি রাজনীতিতে আসবেন? সনিয়া বলেন, এই মুহূর্তে প্রিয়ঙ্কা ছেলেমেয়ে নিয়ে ব্যস্ত। ভবিষ্যতে তিনি কী করবেন তা তাঁর ওপর নির্ভর করছে, আগামীতে কী হবে কে বলতে পারে?