রায়বরেলি: গতবার ছিল ২টি আসন। এবার রয়েছে ১টি। ২০১৪ সালে রায়বরেলি ও অমেঠিতে আসন ধরে রাখতে পারলেও এবার বিজেপির তারকা প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হার হয়েছে রাহুলের। যার ফলে হাতছাড়া হয়েছে অমেঠি। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের চিরাগ জ্বালিয়ে রেখেছেন একমাত্র সনিয়া। অতীতের ইন্দিরা গাঁধীর জেতা আসনে এবারও জয়ী হয়েছেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন তথা কংগ্রেস হাইকমান্ড সনিয়া গাঁধী। বুধবার রায়বরেলির ভোটারদের ধন্যবাদ জানাতে মেয়েকে নিয়ে হাজির হলেন সনিয়া।
দিন কয়েক আগেই কেরলের ওয়েনাডে দলীয় কর্মী সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রোড শো করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। যদিও রায়বরেলিতে এমন কোনও রোড শো করা হবে না বলেই সূত্রের খবর। এই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস নেতা লাল আশ কিরণ প্রতাপ সিংহ বলেন, সনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা ফুরসতগঞ্জ বিমানবন্দর থেকে সোজা ভুয়েমায়ু গেস্ট হাউসে যান। সেখানেই তাঁরা থাকবেন। জানা যাচ্ছে, সেখানেই আড়াই হাজার দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বিজয়ী সম্মিলনীও করবেন এই দুই কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে অমেঠি নিয়ে তাঁরা এই মুহূর্তে কোনও কর্মসূচিই নিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অমেঠি কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানিকে ১ লাখ ৭ হাজার ভোটে হারিয়ে জিতেছিলেন রাহুল। তবে এবার তিনি হেরেছেন ৫৫ হাজার ১২০ ভোটে। অন্যদিকে রায়বরেলিতে বিজেপি প্রার্থী দীনেশ প্রতাপ সিংহকে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সনিয়া। আর এই জয়ের জন্য রায়বরেলির জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী। পুনর্বার জয়ী হয়ে এক খোলা পত্র-তে সনিয়া গাঁধী লিখেছেন, “আমি কথা দিচ্ছি দেশের মূল্যবোধকে সর্বোতভাবে রক্ষা করব এবং কংগ্রেস ঐতিহ্যকে বজায় রাখব। জানি, আগামী দিনে অনেক কঠিন পথ দিয়ে কংগ্রেসকে হাঁটতে হবে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, আপনাদের আশীর্বাদ ও সমর্থনে সমস্ত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারবে কংগ্রেস।” একই সঙ্গে বহুজন সমাজবাদী পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, স্বভিমান দলকেও তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। সব শেষে রায়বরেলির জনতার উদ্দেশে তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লিখেছেন, “আমার জীবন একটি বইয়ের মতো, যার প্রতিটা পাতাই আপনাদের সামনে খোলা। আপনারা আমার পরিবার, আমি আপনাদের থেকেই শক্তি সঞ্চয় করি, আপনারাই আমার সত্যিকারের সম্পদ।”