লখনউ:  সমাজবাদী পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমশঃ চরম আকার ধারণ করছে। অখিলেশ যাদবের সঙ্গে শিবপাল যাদবের লড়াইয়ে কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে দল এবং পরিবার। সপা সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদবও এই সঙ্কট সামাল দিতে পারছেন না। তিনি দিল্লি থেকে লখনউ এসে অখিলেশ, শিবপালদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা শুরু করেছেন।


বৃহস্পতিবার অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুলায়মের তুতো ভাই তথা সপা-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রামগোপাল যাদব। তিনিও অখিলেশের সুরেই দলের রাজ্যসভার সদস্য অমর সিংহকে তীব্র আক্রমণ করে তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিন অখিলেশের সঙ্গে দেখা করেন রামগোপাল। তিনি বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্ব উত্তরপ্রদেশে দলের সভাপতি পদ থেকে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশকে সরিয়ে ভুল করেছে। দলে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা মিটে যাবে।’

অমর সিংহকে আক্রমণ করে রামগোপাল বলেছেন, ‘দলের কর্মী, নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবারই ধারণা, একজন বহিরাগত পারিবারিক বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। এই লোকটাই নেতাজির সরল মনের সুযোগ নিয়ে পছন্দের একজনকে (শিবপাল) উত্তরপ্রদেশে দলের প্রধান করেছে। দলে এরকম কোনও পদ নেই। অথচ কেউ কেউ বলছে, নেতাজির প্রভাব খর্ব হচ্ছে দলে। কিন্তু দলের কেউই নেতাজির বিরুদ্ধে যাবে না।’

অখিলেশ শিবিরের দুই নেতা আজম খান এবং নরেশ অগ্রবালও অমর সিংহের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই ঠিক। বহিরাগত কারও হস্তক্ষেপ মানা হবে না। অমরের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল করারও অভিযোগ এনেছেন আজম খান।

শিবপাল প্রত্যাশিতভাবেই অমর সিংহের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সবাইকে নিয়ে চললে তবেই সংগঠন শক্তিশালী হবে। শিবপাল আরও বলেছেন, ২০১১ সালে তিনিই উত্তরপ্রদেশে দলের প্রধান ছিলেন। এবার মুলায়ম তাঁকে এই পদে বসিয়েছেন। মুলায়মের এই সিদ্ধান্তকে কেউ অমান্য করতে পারেন না।