কংগ্রেসের এক স্থানীয় নেতা জানিয়েছেন, যদিও কংগ্রেস ৬টি, সপা ৪টি আসন, এমন একটা বোঝাপড়ায় হয়তো দু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আপত্তি নেই। কিন্তু বেঁকে বসেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা। গৌরীগঞ্জ, অমেঠি বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়তে নারাজ তাঁরা। ওখানে প্রার্থী দিয়েছে সপা। তাছাড়া কংগ্রেস প্রার্থী বাছাইয়ে স্বাধীনতাও চাইছে। আগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে টিকিট দেওয়ায় আপত্তি আছে স্থানীয় নেতাদের। তাদের মত, এতে প্রতিপক্ষ সুবিধা পেয়ে যাবে। ওই নেতাটি বলেন, পরিস্থিতি বিচার করে প্রতিটি প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা কতটা, তা যাচাই করা উচিত। রায়বেরিলির সারেনি বিধানসভা কেন্দ্রের নজির দেখিয়ে তিনি বলেন, ওখানে সপা তাদের বর্তমান বিধায়ককেই এবার টিকিট দিয়েছে। কিন্তু ২০১২-র পর সেখানে পরিস্থিতি পুরো বদলে গিয়েছে। প্রার্থী বদল না করলে এবার ওই আসন বসপা-র ঝুলিতে চলে যেতে পারে। কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মত, আসন ধরে ধরে দুই দলের কার কী শক্তি, দুর্বলতা, তা বিচার করে প্রার্থী বাছাই না করা হলে ফল ভুগতে হবে।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা এখন তাকিয়ে রয়েছেন হাইকম্যান্ডের দিকে। নাম প্রকাশে নারাজ ওই নেতা বলেন, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বিষয়টি নিয়ে সপা-র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। ইতিবাচক সমাধান হবে বলে আশা করছি। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মারুফ খান বলেন, অনেক বিষয়ে, অনেক আসনে আমরা সমঝোতা করেছি। কিন্তু অমেঠি, রায়বেরিলি মতো কংগ্রেসের চিরকালের গড়ে কোনও আপস হবে না। সপা-র প্রভাবাধীন এলাকার আসনগুলি যেমন কংগ্রেস অন্যায় ভাবে চাইছে না, তেমনই যে জায়গাগুলি আমাদের কাছে সম্মানের, সেখানে কংগ্রেসের মর্যাদাকেও স্বীকৃতি দিতে হবে।
ঘটনাচক্রে সনিয়া, রাহুলের গড়ে ১০টি বিধানসভা আসনের ৮টি-ই এখন সপা-র। শেষ পর্যন্ত রফা হলে সেখান থেকে বেশ কিছু আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিতে হবে তাদের।