এর আগে এদিন মুলায়ম-ঘোষিত তালিকায় জায়গা না পাওয়া বিক্ষুব্ধ অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে এদিন বৈঠক করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই দেখা করেন বাবার সঙ্গে। তাঁর ঘনিষ্ঠ সপা বিধায়করা দাবি করেন, অখিলেশ ১৬৭ জন প্রার্থীর নামের লিস্ট বানিয়েও ফেলেছেন। মুলায়মের তালিকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হবে তাঁদের। অখিলেশপন্থী এমএলএ ইন্দল সিংহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবত নিজের তৈরি প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করছেন। এঁরা দলের সরকারি প্রতীক সাইকেল বাদে অন্য কোনও প্রতীকে লড়বেন।
শেষপর্যন্ত বাবার পাল্টা হিসেবে ২৩৫ জনেরই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিলেন অখিলেশ। সব মিলিয়ে কিছুদিন সপা-র ঘরোয়া কলহ ভিতরেই থাকার পর আবার সামনে বেরিয়ে আসছে। এর জেরে এমনকী সপা ভাঙনের দিকে এগতে পারে বলে মত পর্যবেক্ষক মহলের। মালিহাবাদের বিধায়ক ইন্দল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি আমাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
মুলায়মের গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনে অখিলেশ না থাকলেও ছিলেন ভাই শিবপাল যাদব। মুলায়ম রাজ্য বিধানসভার ৪০৩ আসনের মধ্যে ৩২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দেন। একইসঙ্গে অখিলেশকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রজেক্ট করতেও রাজি হননি মুলায়ম।
গতকাল মুলায়ম যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তাতে ১৭৬ জন বর্তমান বিধায়কের নাম রয়েছে। বাদ পড়েছেন অখিলেশ-পন্থী বহু মন্ত্রী ও প্রায় ৫০ জন বিধায়ক।
এর পাশাপাশি, শিবপাল সহ যে ১০ মন্ত্রীকে অখিলেশ বরখাস্ত করেছিলেন, তাঁদের নাম রয়েছে প্রার্থী তালিকায়।
এই প্রার্থী তালিকায় যে শিবপাল শিবির নিজেদের জয় দেখছে, তাতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। এর পাল্টা হিসেবে গতকালই দুই শিবপাল ঘনিষ্ঠকে রাজকীয় নির্মাণ নিগমের পরামর্শদাতাক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন অখিলেশ। গতকাল বুন্দেলখণ্ডে ছিলেন তিনি। সেখানে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি মুলায়মের সঙ্গে কথা বলবেন। বুন্দেলখণ্ড থেকে ফিরে অখিলেশ দলের নেতাদের অভিযোগ শোনার জন্য বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেই এদিনের পদক্ষেপ।