শিবপাল আজ বলেছেন, দলের সুপ্রিমো তথা আপন দাদা মুলায়ম সিংহ যাদব যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই তিনি মেনে চলবেন। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছেন শিবপাল।
অখিলেশ অবশ্য আজ বাড়ি থেকে বের হননি। কয়েকটি সরকারি কর্মসূচি বাতিল করে দেন মুলায়ম-পুত্র। মনে করা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমকে এড়ানোর জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করেছেন অখিলেশ। কিন্তু তিনি ৩ অক্টোবর থেকে ‘সমাজবাদী রথ যাত্রা’-র ডাক দিয়েছেন। ট্যুইটারে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, শিবপালকে আরও কোণঠাসা করার লক্ষ্যেই অখিলেশের এই পদক্ষেপ।
গতকালই শিবপালের হাত থেকে রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দফতর কেড়ে নিয়েছেন অখিলেশ। এরপরেই পারিবারিক বিবাদ প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। সমস্যা মেটাতে শিবপাল ও রামগোপাল যাদবকে আজ নয়াদিল্লিতে বৈঠকে ডাকেন মুলায়ম। দিল্লি যাওয়ার আগে শিবপাল বলেন, ‘মন্ত্রিপদ বণ্টন, আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়া বা উপদেষ্টাদের রাখার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। আমি নেতাজির নির্দেশ মেনে চলব। তিনি আমাকে যা দায়িত্ব দেবেন তা পালন করব। আমি নেতাজির সঙ্গে কথা বলব। নেতাজি ও সমাজবাদী পার্টির উপর রাজ্যের মানুষের আস্থা আছে।’
শিবপালের হাত থেকে দফতর কেড়ে নেওয়াতেই থেমে থাকেননি অখিলেশ। তিনি মুখ্যসচিব দীপক সিংঘলকেও সরিয়ে দিয়েছেন। দীপক আবার শিবপালের ঘনিষ্ঠ। ফলে অখিলেশের এই পদক্ষেপে দল, সরকার তথা পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিবাদ বেড়ে গিয়েছে। এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন স্বয়ং মুলায়ম। তিনি উত্তরপ্রদেশে দলের প্রধানের পদ থেকে অখিলেশকে সরিয়ে দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পারিবারিক বিরোধ মেটাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মুলায়ম। কিন্তু তিনি এখনও পুত্রকে বাগে আনতে পারেননি। ফলে সমস্যা মিটছে না।