নয়াদিল্লি: জল্পনা ছিলই, শেষ পর্যন্ত তা সত্যি প্রমাণ করে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন রীতা বহুগুণা যোশী। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের উপস্থিতিতে কেন্দ্রের শাসক দলে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রথম সারির মুখ বলে পরিচিত এই নেত্রী। নিজেই সাংবাদিক বৈঠকে সনিয়া গাঁধীর দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত জানান।

তিনি এদিন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ইস্যুতে তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেসের। সরাসরি আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধীকেও। বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে হতবাক, হতভম্ব হয়ে পড়েছি। কংগ্রেস সহ সভাপতির  নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘খুন কি দালালি’ মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন রীতা। রাহুলের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চাওয়া নিয়েও আপত্তি তোলেন। তাঁর কথায়, ২৪ বছর কংগ্রেসের সেবা করার পর আমার মনে হচ্ছে, দলের সুনাম নষ্ট হয়ে গিয়েছে, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বের প্রতিও জনসমর্থন নেই।

রীতার এদিনের পদক্ষেপে গোবলয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেই কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে লখনউ ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রের এই বিধায়কের কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হৈমবতী নন্দন বহুগুণার মেয়ে। ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ছিলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভানেত্রী।

স্বাভাবিক ভাবেই রাহুলকে নিশানা করায় পাল্টা রীতাকে তীব্র আক্রমণ শুরু হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। তারা এবার দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রজেক্ট করে বিধানসভা ভোটে নামছে। সেই প্রেক্ষাপটে রীতা দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোয় কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হল বলে সমালোচনা করলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রাজ বব্বর। বিজেপি ‘বিশ্বাসঘাতকদের বাহিনী’ তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এমনকী রীতার পরিবারকেও রেহাই দেননি বব্বর। কটাক্ষ করেন,  রীতা বহুগুণার পরিবারের শিবির বদলের ইতিহাস আছে!