ছেলের গোপন সব খোঁজখবর নিতে এখনকার বাবা মায়ের নাকি গোয়েন্দাও ফিট করছেন। জানার চেষ্টা করছেন ছেলের যৌন হালচাল। বেসরকারি গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এখন আর আগের মত হবু বর বা বৌয়ের অ্যাফেয়ার চলছে কিনা, জানার তেমন চল নেই। বরং এখন তাঁদের অফিসে ভিড় করছেন টিন এজার বা সদ্য তরুণ তরুণীদের উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। জিজ্ঞাসা একটাই। দেখুন তো একটু খুঁজেপেতে, ছেলেটা কাদের সঙ্গে মিশছে!
বিশেষ করে শেষ ২ বছরে এই হার বেড়েছে চোখে পড়ার মত। প্রতি বছর অন্তত ১৫-২০ শতাংশ বাবা মা এসে জানাচ্ছেন, সন্তানের হাবভাব কেমন যেন সুবিধের ঠেকছে না। ছেলেমেয়ে বিয়ে করতে না চাইলে এই আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে আরও। রহস্যের পর্দাফাঁস করতে ডাক পড়ছে গোয়েন্দাদের।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, যদি ছেলে বিশেষ কোনও ছেলের সঙ্গেই শুধু ঘোরে ফেরে, তার সঙ্গেই পার্টিতে সময় কাটায়, বাবা মায়েরা ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। আর দুশ্চিন্তা চরমে উঠছে, যখন সে বিয়ে এড়ানোর চেষ্টা করছে।
শুধু বাবা মা নন, স্বামী অফিসের কাজে নিয়মিত বাইরে থাকলে সন্দিগ্ধচিত্ত স্ত্রীরাও চলে আসছেন ফেলু মিত্তিরদের কাছে। বিশেষ করে সঙ্গে করে পুরুষ সহকর্মী থাকলে আশঙ্কা বাড়ছে আরও। মহিলা সেক্রেটারিকে নিয়ে আতঙ্কে থাকার দিন এখন নাকি অতীত। বরং পুরুষ সহকর্মীরাই আজকালকার গৃহিণীদের বেশি উদ্বেগের কারণ। এমনকী বিয়ের আগেও গোয়েন্দার কাছ থেকে খবর নিয়ে জানার চেষ্টা চলছে, ভবিষ্যৎ স্বামী বা স্ত্রীর সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন কী।