জয়পুর: গত ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাজের সন্ধানে রাজস্থানে আসা এক শ্রমিককে খুন করে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেগার। যেভাবে ঠান্ডা মাথায় খুনের ভিডিও পোস্ট করা হয় তা দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। কিন্তু রাজস্থানে দুষ্কৃতীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার পুলিশের কপালে ভাঁজ বাড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে, অপরাধ করে গোপন করার বদলে তা বড় মুখ করে ইউটিউব, ফেসবুকে পোস্ট করছে তারা।

গত ৪ বছরে এমন ১,৫৭৪টি ঘটনা পুলিশের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। এ মাসের শুরুতে ৪০ বছরের এক মহিলা অভিযোগ করেন, বারান জেলায় ৫ যুবক ধর্ষণ করে তাঁকে, ঘটনার ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। অভিযোগ দায়েরের মাসখানেক আগে ধর্ষণ ঘটে কিন্তু মহিলা তখন তা গোপন রেখেছিলেন। ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর বাধ্য হয়ে মুখ খোলেন তিনি।

পুলিশ বলছে, ২০১৪-য় সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধের ভিডিও পোস্ট করার ঘটনা তুলনামূলকভাবে কম ঘটেছিল। সে বছর সংখ্যাটা ছিল ২৬৬। গত বছর তা এক লাফে বেড়ে এক্কেবারে ৫৪৬। এর মধ্যে রয়েছে মধুচক্র, ব্ল্যাকমেলিং ও জালিয়াতির মত ঘটনা।

সব থেকে বেশি ভিডিও রেকর্ড হয়েছে রাজধানী জয়পুরে, ৬০৭টা, তারপর কোটা, বারমের ও আজমীর।

পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা চিন্তিত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর বিশেষ নজরদারি না থাকায় নানা ধরনের অপরাধ এই মাধ্যম ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা পোস্ট করা হয়, তার সবই অন্ধের মত বিশ্বাস করা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছে তারা।