শ্রীনগর: পিডিপি প্রার্থী নাজির আহমেদ খানকে ১০৭০০-র বেশি ভোটে হারিয়ে শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতলেন ফারুক আবদুল্লা। ৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হয়েছিল ব্যাপক হিংসা, অশান্তির মধ্যে। ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়। পাথর ছোঁড়া বিক্ষোভকারীদের সামলাতে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। প্রাণ হারায় ৮ বিক্ষোভকারী। সারাদিনে ভোট পড়ে মাত্র ৭.১৩ শতাংশ, যা ওই কেন্দ্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম। নির্বাচন কমিশন শুক্রবার ওই কেন্দ্রের ৩৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু পড়ে মাত্র ২ শতাংশ ভোট।


রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর শীর্ষ নেতা ফারুককে পিডিপি প্রার্থী বড় বেগ দিতে পারেন বলে ধারণা করেছিলেন পর্যবেক্ষকরা। ভোটযুদ্ধে ছিলেন আরও ৭ প্রার্থী। কিন্তু ক্ষমতাসীন পিডিপি-বিজেপি জোট ধাক্কা খেল শেষ পর্যন্ত।

এদিন সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগণনায় শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন ফারুক। তিনি পেয়েছেন ৪৮৫৫৪টি ভোট। নাজিরের প্রাপ্ত ভোট ৩৭৭৭৯।
শোনা যাচ্ছে, জয়ী হওয়ার পর রাজ্যে রাজ্যপালের শাসন জারির দাবি করেছেন তিনি। বলেছেন, যাঁরা আমায় জেতালেন, তাঁদের ধন্যবাদ। এযাবত্ হওয়া সবচেয়ে রক্তাক্ত নির্বাচন ছিল এবারেরটি। ভোটের ফলে প্রমাণ, মানুষ এনসি-কে সমর্থন করছেন। রাজ্যের বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে রাজ্যপালের শাসন জারি করতে ভারত সরকার ও রাষ্ট্রপতিকে আবেদন করছি।

প্রসঙ্গত, হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি ৮ জুলাই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হওয়ার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠা কাশ্মীর উপত্যকায় জনগণের বিক্ষোভ সামলাতে নিরাপত্তাবাহিনী দমনপীড়ন চালাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে পিডিপি নেতা তারিক হামিদ কারা লোকসভা থেকে ইস্তফা দেন, দলও ছাড়েন। ফলে শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হয়।
এই নিয়ে তৃতীয়বার লোকসভায় নির্বাচিত হলেন ফারুক। এর আগে ১৯৮০, ২০০৯-এ সংসদে গিয়েছেন তিনি।