পানাজি: গোয়ায় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ‘পদ্মাবতী’-বিতর্কের ছায়া।


সোমবার ছিল উৎসবের উদ্বোধন। ‘পদ্মাবতী’-বিতর্ক এবং চলচ্চিত্র উৎসবে ‘এস দুর্গা’ ও ‘ন্যুড’ নামের দুটি ছবিকে ইন্ডিয়ান প্যানোরামা বিভাগ থেকে বাদ দেওয়ার জেরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহুজন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন উদ্বোধনে অংশ না নেন। যদিও, এদিন উদ্বোধনী মঞ্চে হাজির ছিলেন কিং খান।


তবে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, ঘুরিয়ে পদ্মাবতী-বিতর্ককে মাথায় রেখে শাহরুখ বলেন, সংস্কৃতে একটি শ্লোক রয়েছে, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’। অর্থাৎ, গোটা বিশ্বকে পরিবারের মতো কাছে টেনে আনা। আমি বিশ্বাস করি, আপনার ভাষা যাই হোক না কেন, যে দেশ থেকেই গল্প আসুক না কেন, আদর্শ যাই হোক না কেন, গল্প বলা ও শোনার অভিজ্ঞতা একইরকম হওয়া উচিত।


তিনি যোগ করেন,  একইরকমের অভিজ্ঞতা আমাদের একসূত্রে বাঁধে। সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। ঠিক যেমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া-আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। ‘পদ্মাবতী’-র নাম না করে শাহরুখ আরও বলেন, ভারত হল কাহিনী, গল্পগাথা, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ধর্মীয় ইতিহাস, পূরাণ ও রূপকথার দেশ। এই গল্পগুলি মানুষকে আশা দেখায়, অনুপ্রেরণা জোগায়।


অভিনেতার মতে, ছবি হল একটি সমষ্টিগত কলা যা বহু মানুষ নিজেদের মধ্যে প্রতিপালন করেন। ছবি তৈরি করতে গিয়ে একটি ধারণা নিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করা হয় এবং শেষে তা বিশ্বের সামনে মেলে ধরা হয়। কখনও সেই ছবি দেখে আমরা আনন্দ উপভোগ করি, নাচি। আবার কখনও রেগে যাই, বিরক্ত হই, বিক্ষুব্ধ হই। আর এটাই সিনেমার মাধ্যমে গল্প-বলার ম্যাজিক। আর শোনার লোক না থাকলে, গল্প বলার নিরর্থক। তাই উভয়পক্ষের উচিত পরিবারের মতো থাকা।