নয়াদিল্লি: পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার বা আটক নয়। গত ২০ নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন বিমল গুরুং। অডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই সামনে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের নির্দেশের বিরোধিতা করে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে জোরাল সওয়াল করল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, বিমল গুরুঙের বিরুদ্ধে ৭৭টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় বারবার সমন করা সত্ত্বেও তিনি আসেনি। এসআই খুন, পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে গুরুঙের বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়িতে বিস্ফোরক তৈরির কারখানারও হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে একে-৪৭, জিলেটিন স্টিক। এখন বিমল গুরুং পলাতক। এক্ষেত্রে অন্তবর্তী জামিন হয় না।
বিচারপতিরা বলেন, এত মামলার কথা তাঁরা জানতেন না। গুরুঙের আইনজীবী পাল্টা সওয়ালে বলেন, এ সব রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
রাজ্য সরকারি আইনজীবী তখন বলেন, আন্দোলনে শিশুদের ব্যবহার করেছেন বিমল গুরুং। শিশুসুরক্ষা কমিশনও তাঁকে তলব করেছে, কিন্তু হাজির হননি।
গুরুঙের আইনজীবী দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেহেতু গোর্খাল্যান্ডের বিরুদ্ধে, তাই বিমল গুরুঙের বিরুদ্ধে এত মামলা। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা চাই, সিবিআই বা অন্য কোনও রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করা হোক। রাজ্য সরকারের তোলা অভিযোগগুলির প্রেক্ষিতে হলফনামা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়,পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। তার আগে হলফনামা জমা দিতে হবে।
এদিকে এদিনই বিমল গুরুঙের বিরুদ্ধে নিহত এসআই অমিতাভ মালিকের মা সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছেন। তাঁর দাবি, গুরুঙের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গোটা পরিবার।