নয়াদিল্লি: ভারত যখন দেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তু-সংক্রান্ত সংগঠন জানিয়ে দিল, শরণার্থীদের বিপদের মুখে ঠেলে না দওয়ার নীতি সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
শুক্রবার ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন ফর রিফিউজিজ (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, নীতিগতভাবে কোনও শরণার্থীকে বিপদের মুখে ফেরত পাঠানো যায় না।
সংগঠনের মতে, এটা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। ফলে, এই নীতি সব দেশের ক্ষেত্রেই সমান প্রযোজ্য, তা সেই সংশ্লিষ্ট দেশ রিফিউজি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছ কি না, তা বিবেচ্য নয়।
রাষ্ট্রসংঘের আওতাধীন এই সংগঠনের দাবি, বিশ্বের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংক্রান্ত সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ভারত। ফলে, তাদের ক্ষেত্রে এই নীতি আরও বেশি করে প্রযোজ্য।
গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়ে দেন, ভারতে রোহিঙ্গারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। ফলে, তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তা সে যতই তারা ইউএনএইচসিআর-এর নথিভুক্ত হোক না কেন।
গণহত্যা থেকে বাঁচতে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায় বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ও ভারতে পালিয়ে আসছে। গত কয়েক মাসে বহু হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইউএনএইচসিআর-এর নথিভুক্ত হওয়া প্রায় ১৬,৫০০ রোহিঙ্গা মুসলিম অভিবাসী ভারতে বসবাস করছেন। আরও ৪০ হাজার ভারতে অবৈধভাবে রয়েছে। এদিন রাষ্ট্রসংঘের সংগঠন জানায়, এখনও পর্যন্ত ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে বলে খবর মেলেনি।