শ্রীনগর: জঙ্গিদমন অভিযানে চার সাধারণ নাগরিক সহ ২০ জন মারা যাওয়ার পর থেকেই থমথমে জম্মু ও কাশ্মীর। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বনধে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। অন্তত ২১ জন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকরা রাজ্য থেকে চলে যাচ্ছেন।
তার মধ্যেই, এবার পর্যটকদের ওপর পাথর হামলা করার অভিযোগ উঠল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে একাধিক জায়গায় পর্যটকদের নিশানা করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। অন্তত তিনটি জায়গায় পাথর-হামলা করা হয়।
খবরে প্রকাশ, রবিবার রাতে ডাল লেকের কাছে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটক-বোঝাই দুটি বাসে পাথর-হামলা চালানো হয়। হাউসবোট মালিকদের তৎপরতায় তাঁরা বেঁচে যান।
অন্যদিকে, ট্যাক্সি করে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন আবু ধাবির বাসিন্দা কয়েকজন পর্যটক। ওই ট্যাক্সি লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে ২ মহিলা পর্যটকের মাথায় চোট লাগে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আবার, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তিপোরাতেও পর্যটকদের বাস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকারীরা। তাতেও আহত হন উত্তরপ্রদেশের ২ মহিলা পর্যটক।
জানা গিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে দিয়ে যখন বাসটি যাচ্ছিল, তখন জনা ১০০ বিক্ষোভকারী বাস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে।
আহত ২ মহিলাকে মহারাজা হরি সিংহ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার পরই ভীত-সন্ত্রস্ত পর্যটকরা সোমবারের ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান প্রথম বিমান ধরতে।
পর্যটকদের ওপর হামলায় উদ্বিগ্ন মেহবুবা মুফতি প্রশাসন। ইতিমধ্যেই, বহু পর্যটক বুকিং বাতিল করেছেন। হোটেল মালিকদেরও মাথায় হাত।
পর্যটন ব্যবসা যাতে মার না খায়, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী তাসাদুক হুসেন মুফতি। কিন্তু, বর্তমান চিত্র অন্য।