হায়দরাবাদ: কাল দিল্লি। আজ তেলঙ্গানা। দলিতদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ফের নিজে থেকে সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, গুলি চালালে, আমার ওপর গুলি চালান, কিন্তু দলিতদের আক্রমণ করবেন না।


দলিতদের ওপর আক্রমণের ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী! রবিবার তেলঙ্গানার একটি সভা থেকে দলিতদের রক্ষা করারও আহ্বান জানান তিনি!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলিতদের আক্রমণ করবেন না। প্রয়োজনে আমাকে আক্রমণ করুন, আমাকে গুলি করুন, দলিত ভাইদের নয়। দলিত, শোষিতদের আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাঁদের সম্মান করতে হবে। সমাজে তাঁরা শুধুই অবহেলিত। তিনি আরও বলেন, শান্তি, ঐক্য উপেক্ষা করে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। যেকোনও দেশের উন্নয়নের প্রধান উৎস হল একতা। দলিতদের আক্রমণের ঘটনায় তিনি ব্যথিত।

উল্লেখ্য, শনিবারও দিল্লির ‘ইন্দিয়া গাঁধী স্টেডিয়ামে’ জনতার মুখোমুখি হয়ে নিজে থেকেই দলিত নিগ্রহের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মোদী।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে দলিত ও সংখ্যালঘু নিগ্রহের নানা ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে, ক’দিন আগেও সংসদে ঝড় তোলে বিরোধীরা। কিন্তু তার পরেও এ নিয়ে উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি মোদীর মুখে। রেডিও ভাষণ ‘মন কি বাত’-এও দলিত কিম্বা সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে কিছুই বলেননি তিনি! তাহলে পরপর দু’দিন কেন এ নিয়ে মুখ খুললেন মোদী?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, এর নেপথ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের ভোট অঙ্ক। আগামী বছর সেখানে ক্ষমতা দখল করতে গেলে বড় ফ্যাক্টর হবে দলিত-ভোটব্যাঙ্ক।
সে কথা মাথায় রেখেই কি, সমালোচনার মুখে হঠাৎ দলিত-দরদি হয়ে ওঠার চেষ্টা? প্রশ্ন নানা মহলে।