নয়াদিল্লি:  নোট বাতিল, জিএসটি তাড়াহুড়োয় কার্যকর হওয়ায় কতটা ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি, সেই নিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলির বিরুদ্ধে সুর চড়ান দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। তিনি ভারতের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জীবনে খুব কাছ থেকে গরীবী দেখেছিলেন। জেটলি, সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে নিশ্চিত করতে চেয়েছেন যাতে দেশবাসীরাও গরীবীকে খুব কাছে থেকে অনুভব করেন, মন্তব্য করেন যশবন্ত। এরপরই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। এই পরিস্থিতিতেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে যশবন্ত জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় অর্থনীতির বর্তমান হালের জন্যে তিনি তাঁর বিশ্লেষণ থেকে একচুলও সরছেন না। তিনি তাঁর সুর আরও একধাপ চড়িয়ে মন্তব্য করেছেন, মোদী সরকার স্বল্পমেয়াদী লাভের কথা ভেবে দেশের অর্থনীতিকে এক স্থবির জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এরপর তিনি বলেন, প্রতিটি খারাপ পরিস্থিতির জন্যে আমরা আগের সরকারকে দায়ী করতে পারি না। এই সরকারও ক্ষমতায় এসেছে ৪০ মাস হয়ে গেল। সেখানে দাঁড়িয়ে আগের সরকারকে দায়ী করার প্রবণতা সঠিক নয়। যদিও প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবিকে খারিজ করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল দাবি করেন, গত তিন বছরে মোদীর নেতৃত্বে ভারতীয় অর্থনীতির গ্রাফ দ্রুততার সঙ্গে বেড়েছে। এমনকি মন্ত্রীর নিজের ছেলে জয়ন্ত সিনহাও তাঁর বাবার মন্তব্যের বিপক্ষে গিয়ে বলেন, গতকাল ভারতীয় অর্থনীতির সমালোচনা করে যে বিশ্লেষণ বেরিয়েছে সেটা সঠিক নয়। বিস্তারিতভাবে সমস্ত তথ্য খতিয়ে এই নথিপত্রটি তৈরি করা হয়নি। সেখানে প্রাথমিক স্তরে ভারতীয় অর্থনীতির যে বদল আসছে, সেকথা উল্লেখ করা নেই। যশবন্তের দাবি তাড়াহুড়োয় জিএসটি বা বিক্রয় করে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেটা ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সেই জন্যেই পড়ে গেছে দেশের গড় বৃদ্ধির হার। এছাড়া নোট বাতিলের জন্যে ধাক্কা খেয়েছে বিভিন্ন সেক্টর। কোথাও কোনও বিনিয়োগ নেই। পুরো অর্থনীতি থমকে গিয়েছে।