নয়াদিল্লি ও কলকাতা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্র জানিয়ে দিল ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তিনি। উত্তর খারিজ করে সিট তদন্তের দাবি করল নেতাজির পরিবার।


বেঁচে আছেন নেতাজি? ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্টের পর সুভাষচন্দ্র বসু কোথায় আছেন? এই প্রশ্ন নিয়ে আরটিআই-এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক সায়ক সেন।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক উত্তরে জানিয়ে দিল, বিভিন্ন কমিশনের সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মোদী সরকার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।


মন্ত্রক জানায়, শাহনাওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জিডি খোসলা কমিশন এবং বিচারপতি মুখোপাধ্যায় কমিশন অফ এনক্যোয়ারির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সরকার এই সিদ্ধান্তে এসেছে।


শুধু তাই নয়, নেতাজি যে দীর্ঘদিন ‘গুমনামী বাবা’-র ছদ্মবেশে জীবিত ছিলেন, সেই খবরও খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মুখোপাধ্যয় কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছছে যে, ‘গুমনামী বাবা’ বা ‘ভগবানজি’ কোনওভাবেই নেতাজি ছিলেন না।


তবে, কেন্দ্রের এই জবাব খারিজ করে দিয়েছে নেতাজির পরিবার। এদিন সুভাষচন্দ্র বসুর পৌত্র তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু দাবি করেন, নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের উন্মোচনের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা উচিত।


তিনি বলেন, আমি কেন্দ্রের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যে অফিসার এধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন জবাব দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


তাঁর প্রশ্ন, কী করে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া সরকার এই মন্তব্য করতে পারে। এর জন্য কেন্দ্রের ক্ষমাপ্রার্থনা করা উচিত বলেও দাবি করেন চন্দ্র বসু।