নয়াদিল্লি:  দুর্নীতি রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নয়া দাওয়াই। নিজের দলের সমস্ত সাংসদ-বিধায়কদের গত ৮ নভেম্বর থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হওয়া তাঁদের ব্যাঙ্কের লেনদেনের সমস্ত  তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। এই সমস্ত তথ্য দলের সভাপতি অমিত শাহকে জমা দেওয়ার নির্দেশ হয়েছে।


প্রসঙ্গত, আজ সকালে বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই নির্দেশ দেন মোদী। সূত্রের খবর, যদি প্রয়োজন পরে, তাহলে এই সমস্ত তথ্য আমজনতার সামনে প্রকাশ করা হবে, দেওয়া হবে দলের ওয়েবসাইটে।

উল্লেখ্য এইমুহূর্তে বিরোধী দলগুলো একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, নোট বাতিলের ফলে সুবিধা হয়েছে বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের। কারণ, তাঁরা জমি কিনে তাঁদের কালো টাকা সাদা করে নিয়েছেন।

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে দেশের অন্যতম বৃহত্তর কেলেঙ্কারির আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূর্জেওয়ালা বলেন, মোদী তাঁর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের কাছে আগাম এই খবর ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তাই তাঁরা সময় মতো কালো টাকা সাদা করার জন্যে জমি কিনে ফেলেন। এই প্রসঙ্গ টেনে আপ নেতা আশুতোষ টুইট করেন, বিজেপি নেতাদের নোট বাতিলের আগের কয়েক মাসের তাঁদের ব্যাঙ্কে লেনদেনের সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে। বিরোধীদের কড়া জবাব দিতেই মোদীর এই সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত, গত ৮ নভেম্বর দুর্নীতি দমনে, কালো টাকা রোধে ৫০০ ও হাজারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন মোদী। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাতিল নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নেওয়ারও সময় দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীদের একজোট আক্রমণের মুখে পড়েছে মোদী সরকার।

মোদী আজকের বৈঠকে বিরোধীদের তোলা আরও এক অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন। বিরোধীদের দাবি ছিল সোমবার লোকসভায় আয়কর সংশোধনী যে বিল পেশ করা হয়, তা আসলে কালো টাকাকে সাদা করার জন্যই আনা হচ্ছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানিয়েছে, মোদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়ার জন্যে, এবং গরীবদের উন্নয়নের লক্ষ্যে।

দেশকে ক্যাশলেস অর্থনীতি বানাতে দেশবাসীর কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছেন মোদী।