নয়াদিল্লি: রাজীব গাঁধীর হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলায় রাহুল গাঁধীকে একহাত নিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিজেপি সাংসদের দাবি, রাজীবকে 'সুপারি' দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল কিনা, বা তাঁর হত্যার পিছনে আর্থিক লাভের জন্য কোনও চক্রান্ত ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখা উচিত।
কংগ্রেস সভাপতি সিঙ্গাপুর সফরে আইআইএমের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠানে বলেছেন, বহু বছর ধরে যন্ত্রণা সইলেও মানুষকে ঘৃণা করা যায় না, এই উপলব্ধি থেকে তিনি ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী তাঁদের বাবার খুনীদের সম্পূর্ণ মাফ করে দিয়েছেন।
আজ স্বামী এ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এলটিটিই বলেছিল, তাদের বিরুদ্ধে লড়তে ভারতীয় সেনাকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছিল বলেই তারা রাজীব গাঁধীকে মেরেছে। কিন্তু রাজীব গাঁধী তো শুধু সংসদে পাশ হওয়া প্রস্তাব অনুসারে কাজ করেছেন, যাতে বলা হয়েছিল, তারা একা পারবে না বলে শ্রীলঙ্কাই এলটিটিই-র মোকাবিলায় ভারতের সহায়তা চেয়েছে।
রাহুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, রাজীব গাঁধীর হত্যাকারীদের মাফ করে দেওয়ার ফলে তাঁর হত্যাকাণ্ড ঘিরে সংশয় দানা বাঁধছে। রাজীব ছিলেন প্রকৃতই দেশপ্রেমিক। যারা তাঁকে মারল, তাদের ক্ষমা করার প্রশ্নই ওঠে না। প্রথমে হত্যাকারীদের অন্যতম নলিনীর মৃত্যুদণ্ড হয়। পরে তা কমে হয় যাবজ্জীবন। বুঝি না, যারা বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মারতে পারে, কেন তাদের প্রতি নমনীয়তা দেখানো হবে। রাহুলের মধ্যে দেশপ্রেম বোধ নেই। ওনার বোঝা উচিত, সাজাটা দেওয়া হয়েছে ওঁর বাবার নয়, আমাদের একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের।
এলটিটিই-র সঙ্গে কিছু একটা 'বোঝাপড়া'র ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, কেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী জেলে গিয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন? তিনি ওদের আত্মীয় নন! তারপর সনিয়া গাঁধী আবার নলিনীর ব্রিটেনবাসী মেয়ের পড়াশোনার ভার নিয়েছেন। নলিনীকেও ইন্দিরা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ার স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। বুঝতে পারছি না, এই দরদ কেন ওদের জন্য! খটকা লাগে, কোথাও একটা রহস্য আছে। তদন্ত হলেই সব বেরবে।