নয়াদিল্লি: রোজভ্যালিকাণ্ডে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে কলকাতা থেকে দিল্লি--বিক্ষোভের এই রাস্তাই বেছে নিল তৃণমূল। আক্রমণের সুরটা মঙ্গলবার বেধে দিয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই তিনি বলেছিলেন, পিএমও এসব করাচ্ছে। সিবিআই তো মোদীর মন্ত্রকের অধীন।
নেত্রীর বার্তা পেয়েই বুধবার দিল্লিতে এককাট্টা টিম-তৃণমূল! একসঙ্গে ৩৬ জন সাংসদ! তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ব্যারিকেড করে আটকায় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু নাছোড় তৃণমূল সাংসদরা। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। একপ্রকার বলপ্রয়োগ করেই তৃণমূল সাংসদদের তোলা হয় বাসে। নিয়ে যাওয়া হয় তুঘলক রোড থানায়।
গেটের ওপার থেকেই ক্ষোভ উগড়ে দেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বলপ্রয়োগ করেছে, মোদী সরকারের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। সৌগত রায় বলেন, আমাদের ওপর অত্যাচার করেছ দিল্লি পুলিশ। মেরেছে, মহিলা সাংসদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সাংসদ বলেন, আটক করার সময় মহিলা পুলিশ ছিল না।
এরপর তুঘলক রোড থানা চত্বরেই ধর্নায় বসেন তৃণমূল সাংসদরা। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদরা ধর্না চালিয়ে যান।
অন্যদিকে, রণংদেহী মেজাজে সুদীপের গ্রেফতারির প্রতিবাদে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।