নয়াদিল্লি:  সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যুকাণ্ডে ফের নড়েচড়ে বসল দিল্লি পুলিশ।


এবার মৃতা এবং তাঁর স্বামী তথা কংগ্রেস নেতা শশী তরুরের মধ্যে হওয়া মোবাইল ফোনের চ্যাট বিস্তারিত রেকর্ড চেয়ে পাঠিয়ে কানাডা পুলিশের কাছে আবেদন করল দিল্লি পুলিশ।

ওই চ্যাটগুলি ডিলিট করে দেওয়া হওয়ায় এখন তদন্তকারীদের পক্ষে তার হদিস মিলছে না। এই প্রেক্ষিতে কানাডার সংস্থা রিসার্চ ইন মোশন-এর কাছে লেটার রোগেটরি (এলআর) পাঠিয়েছে পুলিশ। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই সংস্থা উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন বলে পরিচিত ব্ল্যাকবেরি ফোন তৈরি করে।

প্রবীণ সাংবাদিক নলিনী সিংহ পুলিশের কাছে জানান, সুনন্দার সঙ্গে তাঁর কথোপকথন হয়েছিল। সেই সময় সুনন্দা অভিযোগ করেছিলেন, শশী এবং পাক সাংবাদিক মেহর তরারের মধ্যে ফোনে বেশ কিছু কথা হয়েছিল। যেগুলি পরে শশী ফোন থেকে ডিলিট করে দেন বলে দাবি করেছিলেন সুনন্দা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির অভিজাত লীলা প্যালেসর হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুনন্দা পুষ্করকে। ঠিক তার আগের দিনই, শশীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে টুইটারে সুনন্দা এবং মেহরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। সেখানে সুনন্দা দাবি করেছিলেন, শশীর সঙ্গে মেহরের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।

এই ঘটনায় শশী সহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এমনকী, এই ঘটনায় ৬ জনের ওপর পলিগ্রাফ টেস্টও করা হয়। সেই তালিকায় ছিল তরুরের পরিচারক নারায়ণ সিংহ, গাড়ির চালক বজরঙ্গী এবং শশী-সুনন্দার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সঞ্জয় দিওয়ান।