জম্মু: ৩০ ঘণ্টা পর অবশেষে সুঞ্জওয়ানে সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টারের সমাপ্তি ঘটল। সংঘর্ষে এক জুনিয়র কমিশনড অফিসার সহ ৫ সেনা কর্মী শহিদ হয়েছেন, খতম হয়েছে ৪ জঙ্গি। আহত শিশু সহ ৯ জন।

গতকাল ভোরের আলো ফোটার আগে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল জৈশ ই মহম্মদ জঙ্গি সেনার পোশাক পরে সেনা ছাউনিতে হামলা চালায়। গ্রেনেড ছুঁড়ে ও স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালাতে চালাতে ফ্যামিলি কোয়ার্টারে ঢুকে পড়ে তারা। তাদের সেনার পরিবারের সদস্যদের পণবন্দি করার ছক ছিল।

গুলিতে শহিদ হন মদনলাল চৌধুরী নামে এক জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও আশরাফ আলি নামে আর এক সেনা কর্মী। এঁরা দুজনেই জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা। মদনলালের মেয়ে স্কুলের ছুটিতে বাবার কাছে ঘুরতে এসেছিল, সেও আহত হয় গুলিতে।



ফ্যামিলি কোয়ার্টারে ঢুকে পড়া জঙ্গিদের বার করতে ডাকা হয় প্যারা কম্যান্ডো বাহিনীকে। খতম হয় ৩ জঙ্গি। সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত জম্মু চলে আসেন, বৈঠক করেন বরিষ্ঠ সেনা কর্তাদের সঙ্গে। জানা যায়, জঙ্গিদের গুলিতে আহত হয়েছে ৯ জন সাধারণ নাগরিক, এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

সেনা জানায়, জঙ্গিদের কাছে এ কে ৫৬ রাইফেল ও প্রচুর গোলাবারুদ, হ্যান্ডগ্রেনেড রয়েছে। খতম জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয় জৈশের পতাকাও। গতকাল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সুঞ্জওয়ান সেনা ছাউনির জওয়ানরা ছাউনির কাছে সন্দেহভাজনদের ঘোরাফেরা করতে দেখেন। চ্যালেঞ্জ করলে তারা স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালাতে চালাতে ও গ্রেনেড ছুঁড়তে ছুঁড়তে সেনার ফ্যামিলি কোয়ার্টারে ঢুকে পড়ে।

এর আগে ২০০৬-এ এই সুঞ্জওয়ান ছাউনিতেই আত্মঘাতী হামলায় ১২ জন সেনাকর্মী শহিদ হন।