শক্ত হাতে পঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ দমন করেছিলেন গিল। ১৯৮৮ সালের মে মাসে অমৃতসরে 'অপারেশন ব্ল্যাক থান্ডার টু'-এ তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। এ মাসের ১৮ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক ডি এস রানা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন গিল। কিডনির রোগ অনেকটা সেরে গিয়েছিল। কিন্তু আজ হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
সুপারকপ নামে পরিচিত গিল দু বার পঞ্জাবের ডিজিপি-র দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পুলিশ বিভাগে তিনি কড়া অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। খলিস্তানি জঙ্গিদের দমন করার ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে গিলকে পদ্মশ্রী খেতাব দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালে অবসর নেন এই দুঁদে পুলিশ আধিকারিক। তবে পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তাঁর ডাক পড়ে। ২০০২ সালে গোধরা-পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনা রোখার জন্য গিলের সাহায্য নিয়েছিলেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী। ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহও মাওবাদী দমনে গিলের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।