কলকাতা ও নয়াদিল্লি: দেশে সুপার এমার্জেন্সি চলছে। হস্তক্ষেপ করুন রাষ্ট্রপতি। মোদী সরকারকে নিশানা করে ফের রাইসিনা হিলে তৃণমূল সাংসদরা। জেলায় জেলায় হল বিক্ষোভ, অবরোধ।
নোট বাতিল থেকে সাংসদদের গ্রেফতারির প্রতিবাদ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে তিনদিন ব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শেষদিনেও প্রতিবাদের ঝড় তুলল তৃণমূল। কিন্তু, তার জেরে কোথাও কোথাও ভোগান্তিও পোহাতে হল সাধারণ মানুষকে!
গত কয়েকদিনের মতো বুধবারও দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ে দলীয় অফিসের কাছে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা। তারপর দল বেঁধে রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে ৬ পাতার স্মারকলিপি তুলে দেন তৃণমূল সাংসদরা।
দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক তো হয়নি, উল্টে আরও খারাপ হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে বলেছি সুপার এমর্জেন্সি। হস্তক্ষেপ করার দাবি করেছি। সুদীপ আগের দুটি স্মারকলিপিতে ছিল, এটাতে নেই। সিবিআই আমাদের আরও অনেক সাংসদকে ধরতে চাইছে। মমতা যেহেতু লড়াইয়ে, তাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
আরেক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, নোট বাতিলের জন্য প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার। সিবিআই কনস্পিরেসি করছে। কিন্তু থামানো যাবে না। বাজেট অধিবেশনে আরও আগ্রাসী থাকবে তৃণমূল।
রাজধানীর মতো রাজ্যেও যুদ্ধংদেহী মেজাজে তৃণমূল। গত কয়েকদিনের মতো এদিনও রেল অবরোধ।যার জেরে কোচবিহারে আটকে পড়ে রাজধানী-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। অফিস টাইমে নদিয়ার কল্যাণী স্টেশনে অবরোধ করে তৃণমূল। নাকাল হন রেলযাত্রীরা।
সিবিআইয়ের রাজনীতিকরণের অভিযোগে, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ওঠে স্লোগান। বর্ধমান থেকে পুরুলিয়া-- কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জেলায় জেলায় পথে নামে শাসক দলের কর্মীরা। কোথাও অবরোধ হয়, কোথাও বিক্ষোভ কিম্বা অবস্থান।
যদিও বিজেপির দাবি, নোটকাণ্ডে চেষ্টা করলেও, তৃণমূলের আন্দোলন দানা বাঁধেনি। তাই হিংসাত্মক আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে তারা। আর রাজনীতির এই দড়ি টানাটানিতে বারবার ভোগান্তির শিকার সেই নিরীহ সাধারণ মানুষ!