শ্রীনগর: হিংসা-বিধ্বস্ত কাশ্মীরে নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখছেন যে ডাক্তার, চিকিত্সাকর্মীরা, তাঁদেরই একজন ইনি। নাম ফিরদৌসা রশিদ। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জনতা-নিরাপত্তাবাহিনী সংঘর্ষে অশান্ত উপত্যকায় কার্ফু উপেক্ষা করে রোজ ৪০ কিমি হেঁটে আর্ত রোগীর সেবা করতে শ্রীনগরের জেনারেল স্পেশালিটি হাসপাতালে যাচ্ছেন ফিরদৌসা।

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মুজাহিদিনের পোস্টার বয় বুরহানের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে পাথর বৃষ্টি, লাঠি-গুলি, কাঁদানে গ্যাসে রক্তাক্ত ভূস্বর্গে হতাহত বহু। ফিরদৌসার উপলব্ধি, এখনও যারা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তারা সেবা-যত্ন পেলে বেঁচে যেতে পারে। সেজন্যই পরিবারের নিষেধে আমল না দিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে।



গ্রেটার কাশ্মীর সংবাদপত্রকে ফিরদৌসা বলেছেন, কোনও নার্সই যদি না থাকে, তবে আইসিইউ রেখে কী লাভ? আমি জানি, হাসপাতালে কর্মীর অভাব আছে। আমার কাজই হল ওখানকার শল্যবিভাগের আইসিইউতে মূমুর্ষুদের বাঁচানো। তাঁদের প্রতি আমার কর্তব্য আছে। ডিউটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।

কিন্তু রাস্তায় বেরিয়েও পায়ে পায়ে বিপদ। বুরহানের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামা বিক্ষোভকারীরা ফিরদৌসাকে আটকে জানতে চেয়েছে, কেন সে বাইরে বেরিয়েছে, কোথায় যাচ্ছে? কিন্তু বুক কাঁপেনি তাঁর। শান্ত গলায় তিনি বলেছেন, হাসপাতালে ডিউটিতে যাচ্ছেন। তাঁকে আটকায়নি তারা।

সত্যিই সাহসিনী সুপার নার্স!