নয়াদিল্লি: বারবার মুখে দেবো দেবো বলেছেন, কিন্তু এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা আজও ফেরত্ দেননি। সেজন্য রাজপাল সিংহকে আত্মসমর্পণ করে পূর্বঘোষিত ১০ দিনের কারাবাসের বাকি ৬ দিন জেল খাটতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর রেহাই চেয়ে পেশ করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।


 

আদালতে মিথ্যা হলফনামা দেওয়ায় বলিউড অভিনেতাকে ২০১৩ সালে মোট দশদিনের কারাদণ্ড দেয় এক বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৩-র ৩ থেকে ৬ ডিসেম্বর ৪ দিন জেল খাটেন তিনি। তবে তারপর তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত রাখে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু তাঁকে পরে কারাবাসের বাকি মেয়াদ খাটতে তিহাড় জেলে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বলিউড অভিনেতা।

গত ২৫ জুলাই বারংবার কোর্টে প্রতিশ্রুতি দিয়েও ব্যবসায়ীর টাকা শোধ না করায় রাজপালকে তিরস্কার করে সর্বোচ্চ আদালত। তাঁর আচরণের কোনও ব্যাখ্যা নেই বলেও মন্তব্য করে। আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজপালের কৌঁসুলি সওয়াল করেন, ব্যবসায়ীর টাকা ফেরত্ দেওয়ার সঙ্গতি নেই তাঁর মক্কেলের। তাঁর শেষ ছবি ‘ভোপাল: এ প্রেয়ার ফর রেইন’-ও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে তাঁর কাছে পয়সাই নেই। কিন্তু এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ ও বিচারপতি আর এফ নরিম্যান বলেন, আর কোনও যুক্তিই দেবেন না। আপনাকে তো ৬ মাস জেলে পাঠানোর কথা ভাবছিলাম আমরা।

 

২০১০ সালে রাজপাল নিজের পরিচালনায় প্রথম ছবি ‘আতা পাতা লাপাতা’-র জন্য ৫ কোটি টাকা নেন দিল্লির ব্যবসায়ী এম জি আগরওয়ালের কাছ থেকে। তা ফেরত না পেয়ে রাজপাল, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ব্যবসায়ী। সেই মামলার শুনানি চলছিল এক বিচারপতির বেঞ্চে, সেখানে রাজপাল ২০১৩-র ২ ডিসেম্বর যে হলফনামা দেন, সেটি নকল, এমনকী তাতে তাঁর স্ত্রীর জাল সই দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। ক্ষুব্ধ আদালত রাজপালকে অবমাননার দায়ে ১০ দিনের কারাবাসের সাজা দেয়।