নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের তারকা প্রচারকের তকমা কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কমলনাথ। সেই মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার কোথায় সে প্রশ্নও তুলেছে শীর্ষ আদালত। কমিশনকে এ নিয়ে জবাব দিতে বলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।


৩ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের ২৪টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। তার আগে গত কয়েকদিন ধরে কমলনাথকে কেন্দ্র করে বিতর্কে সরগরম মধ্যপ্রদেশের রাজনীতির ময়দান। নির্বাচন কমিশন কমলনাথের তারকা-প্রচারকের তকমা কেড়ে নেওয়ায় জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, ’’রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপলস অ্যাক্টের ৭৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী দলের নেতা কে হবেন, সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের কোথায় রয়েছে? এর উপর আমরা স্থগিতাদেশ দিলাম, যেহেতু এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আপনার(কমিশনের) নেই।‘‘  তবে কমিশনকে উত্তর দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চের মতে তারকা প্রচারক কে হবেন সে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের রয়েছে। নির্বাচন কমিশন তা ঠিক করে দিতে পারে না।

কংগ্রেস কমিশনের কাছে ২৮জন তারকা প্রচারকের নাম জমা দিয়েছিল। কিন্তু বারবার নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে কমলনাথের এই তকমা কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিরুদ্ধে ১৩ অক্টোবর এবং ১৮ অক্টোবর গোয়ালিয়রের দরবা আসনের বিজেপি প্রার্থী ইমারতি দেবীর বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন কমলনাথ। তাঁরই মন্ত্রিসভার একসময়ের সদস্য ইমরতী দেবীকে ‘আইটেম’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন কমলনাথ। ইমরতী দেবী এবার উপনির্বাচনে গোয়ালিয়র আসন থেকে বিজেপির টিকিটে ল়ড়ছেন। কমলনাথের এই আক্রমণকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী ময়দানে নেমে পড়েছ বিজেপি। এমনকি রাহুল গাঁধী এই মন্তব্যের সমালোচনা করলেও পিছু হটেননি কমলনাথ। বরং নিজের মন্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তারকা প্রচারকের তকমা কেড়ে নেওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হন কমলনাথ। তাঁর হয়ে লড়েন আইনজীবী কপিল সিববল।

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরে কমিশন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টই সর্বোচ্চ। কমিশনকে তার উত্তর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, কমিশন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জবাব দেবে।