নয়াদিল্লি: বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির বকেয়া মোট ঋণের পরিমাণ জনসমক্ষে প্রকাশের পক্ষেই মত ব্যক্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) আইনের গোপনীয়তা রক্ষা ধারাকে ঢাল করে  আরবিআই এবং কেন্দ্র ঋণখেলাপিদের নাম গোপন রাখতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, মুখবন্ধ খামে আরবিআই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ঋণখেলাপি এবং তাদের ঋণের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি বি বানুমতীকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেছে, বকেয়া ঋণের পরিমাণ খুবই বড়সড়। এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঞ্চ আরবিআইয়ের প্রদত্ত তথ্য প্রকাশ করা যাবে কিনা তা জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নতালিকা তৈরি করতে কৌসুলি প্রশান্ত ভূষণকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে পারে।
যদিও আরবিআই এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আপত্তির কথা জানিয়ে বলেছে, এ ব্যাপারে গোপনীয়তা সংক্রান্ত ধারা রয়েছে এবং ঋণের পরিমাণ প্রকাশ করলে অর্থনীতিতে তার বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই কোটি কোটি টাকার বকেয়া ঋণের পরিমাণ প্রকাশ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে তাদের বক্তব্য প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে যাতে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সম্ভব হয়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোশিয়েসনকে পক্ষ করেছে। আগামী ২৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৩-এ সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (সিপিআইএল) এ ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল। ওই সময় বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে  রাষ্ট্রায়ত্ত হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশনের ঋণ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হয়েছিল।
গত ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপি কোম্পানিগুলির তালিকা আরবিআইকে জমা দিতে বলেছিল।
ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে বকেয়া আদায়ের জন্য সে রকম কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না গৃহীত হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।