নয়াদিল্লি: 'বেআইনি ভাবে' ঢোকা রোহিঙ্গাদের কেন্দ্রের বের করে দেওয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানালেন রাজনাথ সিংহ।

সোমবারই কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে। ওরা ভারতে থাকলে জাতীয় নিরাপত্তা বড়সড় বিপদের মুখে পড়বে বলেও কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এখানে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে বলেন, একটি হলফনামা দেওয়া হয়েছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, সুপ্রিম কোর্টই নেবে।

কেন্দ্রের মোদী সরকার এও জানিয়ে দিয়েছে, দেশের যে কোনও অংশে থাকা, পাকাপাকি বসবাসের মৌলিক অধিকার আছে কেবলমাত্র বৈধ নাগরিকদেরই। বেআইনি উদ্বাস্তুরা সেই অধিকার প্রয়োগ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ চাইতে পারে না।

মহম্মদ সালিমুল্লাহ ও মহম্মদ সাকির নামে দুই রোহিঙ্গা অভিবাসীর আবেদনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। দুজনেই রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাইকমিশনারের আওতায় উদ্বাস্তু হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। মায়ানমারে তাঁদের বিরুদ্ধে তীব্র বৈষম্য করা হচ্ছে, নিষ্ঠুর দমনপীড়ন, হিংসা ও রক্তপাত চলছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনের আওতায় ভারত থেকে তাঁদের বের করে দেওয়ার পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তাঁরা।

গত জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, রোহিঙ্গা মুসলিমমদের মতো বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি রিক্রুট করতে পারে, তাই ওরা দেশের নিরাপত্তার সামনে বড় বিপদ। সব রাজ্যকে এমন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।

বেআইনি ভাবে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের খুঁজে বের করে বিতাড়নের জন্য জেলা স্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন করতেও বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ৯ আগস্ট সরকার সংসদে পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু কমিশনারের নথিভুক্ত ১৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার বাস রয়েছে বলে জানায়। যদিও নানা মহলের দাবি, সরকারি হিসাবের বাইরেও প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা দেশের নানা রাজ্য, যেমন জম্মু, হায়দরাবাদ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানে বসবাস করছে।