উল্লেখ্য, বিশ্বের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা সমুদ্র পূষ্ঠ থেকে ৮,৮৪৮ মিটার (২৯,০২৮) ফুট)। উনিশ শতকের মাঝামাঝি বাঙালি গণিতজ্ঞ রাধানাথ শিকদার সফলভাবে এভারেস্টের উচ্চতা মেপেছিলেন।
দু বছর আগে নেপাল ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপেছিল। এর প্রতিক্রিয়া এভারেস্টের উচ্চতার হেরফের হওয়ার দাবি করছেন কোনও কোনও বৈজ্ঞানিক। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অভিযান। এজন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এই অভিযান ভবিষ্যত বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন সার্ভেয়ার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া স্বর্ণ সুব্বা রাও।
রাও বলেছেন, ১৮৫৫ সালে এভারেস্টের উচ্চতা প্রথমবার ঘোষিত হয়েছিল। এরপর আরও পরিমাপ হয়েছে। কিন্তু ওই সময় সার্ভ অফ ইন্ডিয়া যে হিসেব ওই সময় দিয়েছিল, তা এতদিন পর্যন্ত সঠিক বলেই ধরা হয়। নেপালের ভূমিকম্পের দুই বছর পর সার্ভে অফ ইন্ডিয়া নতুন করে উচ্চতা মাপবে। উচ্চতার সঠিক পরিমাপ ছাড়াও এই অভিযানে প্লেটের চলাচল সহ বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
এই অভিযানে মাস দেড়েক সময় লাগবে বলেও রাও জানিয়েছেন। গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) এবং গ্রাউন্ড মেথডের মাধ্যমে হিমালয়ের এই শৃঙ্গের উচ্চতা মাপার কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।