নয়াদিল্লি: প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্তের হালহকিকত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর কাছ থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্টের চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে সিবিআই-কে নির্দেশ দানের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিনীত ধান্দা নামে এক অ্যাডভোকেট এই আর্জি আদালতে দায়ের করেছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দানের জন্য তিনি আর্জি জানিয়েছেন।
আর্জিতে বলা হয়েছে, শীর্ষ আদালত দেশের প্রধান তদন্তকারী সংস্থার ওপর অগাধ আস্থা রেখেছিল এবং অভিনেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কারণ, সারা দেশে অভিনেতার আকস্মিক প্রয়ানে হতচকিত হয়ে গিয়েছিল।
আর্জিতে বলা হয়েছিল, অভিনেতার মৃত্যুর পর গত ১৯ অগাস্ট আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর চারমাস কেটে গেলেও সিবিআই তদন্ত সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ফলে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের সদস্য, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে মৃত্যুর কারণ অজানাই রয়ে গিয়েছে।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, সিবিআই এক্ষেত্রে দায়িত্বপূর্ণভাবে কাজ করতে পারছে না। মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করার কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
আবেদনকারীর বক্তব্য, মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রেও আইনে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জ শিট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্ত এই মামলায় সিবিআই তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
গত ১৪ জুন সুশান্তকে মৃত অবস্থায় তাঁর বাড়িতে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মত্যুর পর মুম্বই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছিল। কিন্তু প্রয়াত অভিনেতার বাবা রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পর পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। রিয়া সুশান্তর গার্লফ্রেন্ড ছিলেন। সুশান্তর বাবা রিয়া, তাঁর ভাই ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট সুশান্তর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এবং এই মামলায় নানা প্রসঙ্গ উঠে আসায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও এনসিবি (নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো)-ও তদন্তে যোগ দেয়।
সিবিআই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানানো হয়নি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে।