নয়াদিল্লি: ঝাঁসির রেল ডিভিশন থেকে স্ত্রীর বদলির জন্য সুষমা স্বরাজের হস্তক্ষেপ চেয়ে তিরস্কৃত হলেন পুনের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। বিপদে পড়ে সুষমার দ্বারস্থ হলে তিনি  কাউকে নিরাশ করেন  না, তাঁর পাশে থেকে সমস্যা মিটিয়ে দেন, এমন বেশ কিছু ঘটনা আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটালেন সুষমাই।


স্ত্রী যাতে তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন, সেজন্য সুষমার ট্যুইটার হ্যান্ডলে স্ত্রীর বদলি করিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন রাজ নামে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। লিখেছিলেন, আমার  স্ত্রী ঝাঁসিতে কর্মরত রেলকর্মী। আমি কাজ করি পুনেয়, তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থায়। এক বছরের বেশি হয়ে গেল। আমাদের বনবাসের ইতি ঘটাতে দয়া করে কিছু করুন। কিন্তু সুষমার মন গলেনি এতে। তিনি ট্যুইট করেন, আপনি বা আপনার স্ত্রী আমার মন্ত্রকের কর্মী হলে যদি ট্যুইটারে এভাবে বদলির অনুরোধ আসত, তবে আমি এতক্ষণে সাসপেনসনের নির্দেশ পাঠিয়ে দিতাম!


প্রথমে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রাজের আবেদন পেয়ে সুষমা জবাব দিতে গিয়ে ট্যাগ করেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে। কিন্তু প্রভু জানিয়ে দেন, তিনি বদলির সিদ্ধান্ত নেন না। রেল বোর্ডই নেয়। তাঁর কিছু করার নেই। যা করার, করতে পারে রেলবোর্ডই। রাজ সরকারি নথি ট্যুইটারে পোস্ট করেও দাবি করেন, সরকারি নিয়মেই বলা আছে, স্বামী, স্ত্রীর একই জায়গায় পোস্টিং দিতে হয়। নিজের অবস্থাকে ‘বনবাস’-এর সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। এর আগে সঞ্জয় পন্ডিতা নামে আমেরিকাবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীর পাসপোর্ট চেয়ে আবেদনের জবাবে বনবাস শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন সুষমাই।