নয়াদিল্লি: বিদেশে বিপন্ন ভারতীয় বা এ দেশে সংকটে পড়া বিদেশি- স্রেফ একটা টুইটের অপেক্ষা। বিপদগ্রস্তের সাহায্যে ভরসার হাত বারবার বাড়িয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ব্যতিক্রম হল না এবারও। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু মেয়ে মধুকে স্কুলে ভর্তি করার ব্যাপারে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন সুষমা। জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যেই দিল্লির একটি স্কুলে তার অ্যাডমিশন হয়ে যাবে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় পাকিস্তানে নির্যাতনের শিকার হতে হয় মধু ও তার বাবা মাকে। বছরদুয়েক আগে বাধ্য হয়ে সে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসে তারা। তারপর থেকেই দিল্লির একটি পাবলিক স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তির চেষ্টা করছিল মধু। কিন্তু আধার কার্ড না থাকায় কোনও স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি সে।

বিষয়টি টুইটারে সুষমা স্বরাজের নজরে আনেন এক ব্যক্তি। তখনই সুষমা টুইটারেই মধুকে আহ্বান জানান, পরদিন তাঁর বাসভবনে সন্ধে সাতটার সময় এসে দেখা করতে। মধু এসে পৌঁছলে তার সঙ্গে বিশদে কথা বলেন তিনি। ফোনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সারেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গেও। এরপর বিদেশমন্ত্রী মধুকে জানিয়ে দেন, তার আর চিন্তার কারণ নেই। ১৬ বছরের মেয়েটি সোমবারই অ্যাডমিশন পাবে দিল্লির একটি স্কুলে।

অবশ্য পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু শরণার্থীদের এর আগেও সাহায্য করেছেন সুষমা। ১৭ বছরের মেয়ে মশাল মাহেশ্বরী তাঁর সহায়তাতেই ডাক্তারিতে অ্যাডমিশন পেয়েছে। সিবিএসই-তে দুর্দান্ত রেজাল্ট করা সত্ত্বেও শুধু পাক নাগরিক হওয়ার সুবাদে কোনও মেডিক্যাল কলেজে অ্যাডমিশন পাচ্ছিল না সে।