স্বাতী নামে ২৪ বছর বয়সি ওই তথ্য প্রযুক্তি কর্মীকে কী কারণে সে খুন করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, চুলাইমেডু এলাকায় স্বাতীর বাড়ির কাছেই থাকত রাম কুমার। গত ২৪ জুন সকালে নুনগামবক্কম স্টেশনে ধারালো অস্ত্রে স্বাতীকে আঘাত করে খুন করার আগে বেশ কয়েক মাস ধরে তাঁর পিছু নিত, তাঁকে উত্যক্ত করত।
ঘটনার দিন সকাল সাড়ে ৬ টা নাগাদ ইনফোসিস কর্মী স্বাতী স্টেশনে কর্মস্থলে যাওয়ার ট্রেনের অপেক্ষা করছিলেন। তখনই তাঁর ওপর হামলা করা হয়।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর দেহটি প্ল্যাটফর্মে দু ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকার জন্য পুলিশকে তিরষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছিল, তদন্তে গাফিলতি হলে তারা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করবে। রেল পুলিশের হাত থেকে মামলাটি সরিয়ে তুলে দেওয়া হয় শহরের পুলিশের হাতে। পুলিশের একাধিক বিশেষ টিম তৈরি করে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়।
স্টেশনে কোনও সিসিটিভি না থাকায় হত্যাকারীর কোনও ছবি পুলিশের কাছে ছিল না। ফলে তদন্তের প্রয়োজনে সূত্র জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হয় তাদের। তবে স্টেশন সংলগ্ন একটি বাড়িতে বসানো সিসিটিভি থেকে সন্দেহভাজনের ছবি পায় তারা। তার ভিত্তিতেই তার স্কেচ আঁকিয়ে প্রকাশ করা হয়।