জয়পুর: রাজস্থানের আলোয়ারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত সন্দেহভাজন গরু পাচারকারী। বুধবার গভীর রাতে জনতা কলোনিতে ঘটেছে ঘটনাটি। ৫-৭ জনের একটি দলকে 'চুরি করা' একটি মিনি ট্রাকে চাপিয়ে রাস্তার গরু নিয়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশ পাচারকারী সন্দেহে বাধা দিলে গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায় তারা।
আলোয়ারের পুলিশ সুপার রাহুল প্রকাশ জানান, টহলদার পুলিশ দলটি কন্ট্রোলরুমে খবর পাঠালে তাদের কয়েকটি টিম ট্রাকটিকে এসএমডি সার্কল, কালি মোরি ওভারব্রিজ, কলেজ সার্কেলে তাড়া করে। কিন্তু অভিযুক্তরা গুলি চালাতে চালাতে মৌজপুর হাউস রোডের দিকে চলে যায়। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশবাহিনীও। সন্দেহভাজন পাচারকারীদের একজন গুলিতে প্রাণ হারায়। তাকে ফেলে পালায় বাকিরা। তাদের খোঁজ চলছে। নিহত ব্যক্তি হরিয়ানার লোক, তালিম নামে শনাক্ত করা হয়েছে তাকে। আজ ময়না তদন্ত হবে তার। ডিজিপি ওপি গালহোত্রা বলেন, তালিমের দেহ ট্রাকেই পড়ে ছিল। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই বাকিরা গাড়িটি ফেলে উধাও হয়ে যায়। ট্রাক থেকে পাঁচটি গরু পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয়। দেখা যায়, একটি মৃত। ট্রাকের ভিতর থেকে একটি দেশী পিস্তল, একটি মোবাইল ফোন, একটি ডায়েরি ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। গরুগুলি যাতে ডাকাডাকি না করে, সেজন্য তাদের অ্যাসিড গেলানো হয়েছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। ডিজিপি জানান, ট্রাকটি চুরি করা হয়েছে, অভিযুক্তরা তার চেসিস নম্বর ঢেকে রাখে। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে সিআইডি-সিবি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সংঘর্ষে মৃত্যুর তদন্ত করছে বলে জানান ডিআইজি।
অভিযোগ, গত এপ্রিলে আলোয়ারেই স্বঘোষিত গোরক্ষকদের পিটুনিতে পেহলু খান নামে ডেয়ারি কৃষক মৃত্যু হয়। নভেম্বরে গোরক্ষার দাবিদাররা আলোয়ারের গোবিন্দগড়ে ৩৫ বছর বয়সি উমর খান নামে একজনকে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। গরু নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর চালানো গুলিতে উমরের এক সহযাত্রী জখম হন।