তিনদিনের জম্মু সফরে আসা টোগাড়িয়া একটি হিন্দু হেল্পলাইন কনভেনশনে পৌরহিত্য করেন।
টোগাড়িয়া বলেন, কাশ্মীরী পন্ডিতরা নিজেদের ঘরেই পুর্নবাসন না পেলে কোনও আলোচনাই অর্থবহ হতে পারে না। ওঁদের নিজের ঘরে ফিরতে না পারা শুধু যন্ত্রনাদায়কই নয়, অপমানজনক। তাই দীনেশ্বর শর্মাকে আবেদন, সময়সীমা বেঁধে পন্ডিতদের প্রত্যাবর্তন সুনিশ্চিত করুন।
টোগাড়িয়া কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে কথাবার্তার প্রস্তাব নাকচ করে বলেন, যারা আজাদি বা স্বশাসন চাইছে, তারা পাকিস্তানে চলে যাক। সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, তারা বিশ্বাসঘাতক। এ দেশে থাকার কোনও অধিকার নেই তাদের। আর পাকিস্তানি এজেন্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কোনও লাভ নেই, শুধু একে-৪৭ এর ভাষাই বোঝে ওরা।
শীর্ষ ভিএইচপি নেতাটির মত, ৩৫এ, ৩৭০ ধারার মতো যেসব ফ্যাক্টর জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতে পাকাপাকি মিশে যাওয়ার পথে অন্তরায়, সেগুলি দূর করতে হবে রাজ্যের সমৃদ্ধি ফেরানোর জন্য।
প্রসঙ্গত, দুটি ধারায় জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ কিছু সুবিধা, অধিকার পায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য নির্ধারিত সুযোগসুবিধা, অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হলে রাজ্যে তেরঙ্গা পতাকা তোলার লোক পাওয়া যাবে না, গত জুলাইয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির 'হুঁশিয়ারি' প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তেরঙ্গা পতাকা বইতে আসবে প্রবীণ টোগাড়িয়া, দেশজুড়ে তাঁর কোটি কোটি সঙ্গীসাথী।
বিতর্কিত টোগাড়িয়া আরও বলেন, জম্মু কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে আমাদের। সেনা জওয়ানদের যারা পাথর ছুঁড়ছে, তাদের ওপর কার্পেট বম্বিং করা উচিত।