নয়াদিল্লি:  চিকিৎসার জন্যে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী রবিবার রাতে বিদেশ গেলেন। মায়ের সঙ্গে বিদেশ উড়ে গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও। তবে বিদেশ যাওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সমর্থিত নেটিজেনদের কটাক্ষ করে গেলেন। তার পাল্টা জবাব দিতেও ছাড়েনি ভারতীয় জনতা পার্টি।

 

রাহুল তাঁর টুইটে লেখেন, বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার সেনারা যেন তাঁর অনুপস্থিতিতে খুব বেশি চাপ নিয়ে কাজ না করে ফেলেন। তিনি খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসছেন।




এর জবাব দিতেও দেরি করেনি বিজেপি। বিজেপির তরফে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলে আশা রাখছেন, এভাবেই বিদেশ থেকে তাঁদের বিনোদনের রসদ যোগাবেন তিনি। বিজেপির তরফে আরও থেকে বলা হয়, সনিয়াজির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন তাঁরা। তবে রাহুল যদি বিদেশযাত্রার আগে কোনওভাবে কর্ণাটকে মন্ত্রিসভা গঠনটা একটু দ্রুততার সঙ্গে করতেন তাহলে ভাল হত। টুইটে স্পষ্ট করেই বলা হয়, কর্ণাটক যদি তাড়াতাড়ি একটি সচল রাজ্য সরকার পেত, তাহলে সেটা সকলের পক্ষে ভাল হত।




রবিবার রাতে মায়ের সঙ্গে বিদেশ গিয়েছেন রাহুল। সনিয়া গাঁধী ২০১১ সালে একটি অস্ত্রপোচার করান। সেইজন্যে তাঁকে একটি মেডিক্যাল চেকআপে যেতে হয়। রাহুল এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরে এলেও, সনিয়া সেখানে আরও বেশিদিন থাকবেন।

প্রসঙ্গত, প্রতিবারই রাহুল বিদেশে গেলে, দেশে নানা জল্পনা শোনা যায়। তাই রবিবার রাতে দেশ ছাড়ার আগে বিজেপি সমর্থিত নেটিজেনদের হাল্কা করে কটাক্ষ করে যান কংগ্রেস সভাপতি।

এদিকে গত সপ্তাহেই কংগ্রেস-জেডি(এস)-এর যৌথ সমর্থনে সরকার গঠন হয়েছে কর্ণাটকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এইচডি কুমারাস্বামী। তবে এখনও অবধি কোন মন্ত্রী কোন দফতর সামলাবেন সেই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সেই প্রক্রিয়াটা রাহুলের অনুপস্থিতিতে আরও একটু ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কোনওরকমের অসুবিধাই হবে না, কারণ রাহুলের সঙ্গে সর্বক্ষণই ফোনে যোগাযোগ করা যাবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে কোন মন্ত্রী কোন দফতর সামলাবেন কর্ণাটক মন্ত্রিসভায়, সেটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। সমস্ত কিছু চূড়ান্ত করে কংগ্রেস সভাপতির থেকে চূড়ান্ত সম্মতি নিয়ে নেওয়া হবে।