নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের মনোভাবের পরিবর্তন না হলে আলোচনায় কোনও লাভ নেই। জঙ্গি দমনে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রশংসা করে  এই মন্তব্য করেছেন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংস (র)-এর প্রাক্তন প্রধান বিক্রম সুদ। তিনি বলেছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে একেবারেই নতুন ও আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে ভারত।

সুদ বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বললে, গুরদাসপুর, পঠানকোট, উরির মতো ঘটনা ঘটে। পাকিস্তান কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চায় না। একটা ধাক্কা না খাওয়া পর্যন্ত ওদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না, ওদের মনোভাবেরও পরিবর্তন ঘটবে না।

সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে কোভার্ট অপারেশন আখ্যা দিয়ে ‘র’-এর প্রাক্তন প্রধান বলেছেন, ভারত যে এমনটা করতে পারে এবং এজন্য যে রাজনৈতিক ইচ্ছা রয়েছে, তা এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে সমঝে দেওয়া গিয়েছে।

সুদ বলেছেন, এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফলে পাকিস্তান বিপাকে পড়েছে। তারা যদি এই অভিযানের কথা স্বীকার করে তাহলে পাল্টা কিছু করতে হবে তাদের। সুদ মনে করেন, এ ক্ষেত্রে অস্বীকার করার পথ বেছে নেওয়াই পাকিস্তানের পক্ষে স্বস্তির হবে।

কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন করার যে কথা বলা হচ্ছে তা বাস্তবসম্মত নয় বলেই মনে করেন সুদ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান একটা বড় দেশ। তাকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের মনোভাবের পরিবর্তন না হলে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনও মানে হয় না।

সুদ বলেছেন, যখন বলা হচ্ছে যে, জল ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না, তখন কীভাবে আলোচনা হতে পারে?

সুদ বলেছেন, পাকিস্তানকে বার্তা দিতে হবে যে, আলোচনায় বসার আগে মনোভাবের পরিবর্তন ঘটাতে হবে এবং এর প্রমাণও দিতে হবে। লখভিকে জেলে ভরা হয়েছে কিনা, জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে কিনা, এ ধরনের প্রমাণ পাকিস্তানকে পেশ করতে হবে।